শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯

যৌনাসক্তি

রবিন যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে তখন তার মামাতো বোন থাকে বলে, এই রবিন চোদাচুদি করবি? রবিন একটু হকচকিত হয়ে পরক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, হুম। করবো। তবে কোথায়? মামাতো বোন বলে, পুকুর পাড়ে। রবিন বলে, চল।
রবিনের মামাতো বোনও ক্লাস সিক্সে পড়ে। রবিন নানা বাড়ি গেলে মামাতো বোনের সাথেই খেলাধুলা করতো। রবিনের আসলে মামাতো বোনের শরীরই বেশি টানতো। সে মনে মনে ভাবতো, তার সাথে যদি মামাতো বোনের বিয়ে হয় তাহলে খুব মজা হবে!
পুকুর পাড়ে রবিন প্রথম কোন নারীর যৌনাঙ্গ দেখার সৌভাগ্য অর্জন করে। রবিন অনেক চেষ্টা করার পরেও মামাতো বোনের যৌনাঙ্গে লিঙ্গ ঢুকাইতে ব্যর্থ হয়! কিন্তু চেষ্টা তার থামেই না! একসময় টায়ার্ড হয়ে গেলে রবিন বুঝতে পারে, যৌনাঙ্গ ঢুকাইতে পারবে না।
মামাতো বোন শোয়া থেকে উঠে হিসু করার সময় রবিন মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে দেখার চেষ্টা করে, হিসু কোন দিক দিয়া বের হয়। রবিন যদি দেখতে পায় তাহলে পরেরবার ঠিক সেইদিক দিয়ে ঢুকাইতে পারবে।
তারপর থেকে তারা পুকুরে এক সাথে গোসল করার সময় দুই একবার ট্রাই করেছে পানিতে। কিন্তু রবিন লিঙ্গ ঢুকাইতে ব্যর্থ হয়েছে!
কিন্তু রবিনের মাথায় যৌন সুখ এমনভাবে গেঁথে যায় যে নারী দেখলেই তার সেক্স করার ইচ্ছা জাগে!
বছর তিনেক পরে রবিন জানতে পারে, তার মামাতো বোন স্কুল পরিবর্তন করে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে। রবিনের মন এতে ভীষণ ভাবে খারাপ হয়ে যায়। রবিনের আর পড়ালেখায় মন বসে না। মামাতো বোনের কথা মনে পড়ে। রবিনের রেজাল্ট বছরের পর বছর খারাপ হতে থাকে।
ছেলের এই অবস্থা দেখে রবিনের মা সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল পরিবর্তনের। এতে রবিন খুশি হয়ে যায়। রবিনের মনে হয়, এখন খেলা হবে কেউ জানবে না।
রবিনের মা রবিনের মামার সাথে কথা বলে রবিনকে নতুন স্কুলে ভর্তি করে দেয়। ভর্তি হওয়ার পর রবিন জানতে পারে তার মামাতো বোন এই স্কুলে ভর্তি হয় নাই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ছে। যেটা রবিনের স্কুল থেকে দশ কিলোমিটার দূরে। রবিনের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু রবিনের কিচ্ছু করার নাই।
রবিন হোস্টেলে থাকার সময় চটি পড়া শুরু করে। চটি পড়ে সে যৌনতার অনেক কিছুই শিখে যায়। চটি পড়ার সময় রবিন তার মামাতো বোনের যৌনাঙ্গ কল্পনা করে হস্তমৈথুন করে। রবিন এতে এক অনন্য অসাধারণ যৌন সুখ পায়।
এস এস সি পাস করার পর রবিনকে শহরের একটা কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয় তার বাবা। রবিন সিদ্ধান্ত নেয়, কলেজে সে কোন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব করবে না। তার ছেলেদের প্রতি আগ্রহ নাই। তার আগ্রহ কেবলই নারী।
রবিন চিন্তা করে তার মেস যদি কলেজ থেকে বেশি দূরে হয় তাহলে তার বান্ধবীরা মেসে আসতে চাইবে না। তাই রবিন চায় কলেজের কাছাকাছি কোন মেসে সিট ভাড়া নিতে। এতে করে কলেজের বোরিং টাইম বাসায় এসে আরামে কাটানো যাবে। বান্ধবী রুমে আসা মানেই সেক্সের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া।
রবিন কলেজ থেকে হেঁটে যাওয়ার দূরত্বে মেস ঠিক করলো । আর ক্যাম্পাসের অপেক্ষাকৃত সুন্দরী এবং ইজি গোয়িং টাইপ মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে লাগলো । রবিনের যে বান্ধবীর সাথে একটু ভালো সহনশীল সম্পর্ক হইছে বলে মনে হয় রবিন তাকেই সেক্সের ডাইরেক্ট প্রপোজ করে । এতে অনেকেই রবিনকে ফালতু ছেলে মনে করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । অনেকেই আবার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে শুধুমাত্র হাই হ্যালো টাইপ একটা সম্পর্ক রাখে । তবে কেউ কেউ রবিনের প্রস্তাবে রাজি হয় ।
যে রাজি হয় রবিন তাকে তার মেসে নিয়ে যায় । যতক্ষণ বান্ধবীসহ রবিন রুমে থাকে তখন তার রুম মেট ঘন্টা খানেকের জন্য বাইরে থেকে ঘুরে আসে । রবিনের কাছে সেক্সের জন্যে এক ঘন্টা সময় নেহাত কম নয় । এতেই সে যৌনতা উপভোগ করতে পারে !
কিন্তু একদিন বাকি মেস মেম্বাররা রাতের খাবের পর মিটিং ডাকলো । সে মিটিং থেকে রবিনকে খুব স্ট্রংগলি নিষেধ এবং তিরস্কার করা হলো । বলা হলো, মেয়ে নিয়ে ফস্টি নষ্টি করার জায়গা মেস না । ভবিস্যতে যেনো মেসে মেয়ে না আনে । যদি আনে তাহলে রবিনকে মেস থেকে বের করে দেওয়া হবে ।
রবিনের মনে হতে থাকে, এইটা মানবাধিকার লঙ্গন । রবিনের মানবাধিকার খর্ব হয়েছে । এটা অবিচার । এটা অন্যায় । এই সিদ্ধান্ত সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না ।
রবিন সিদ্ধান্ত নেয় , এইসব মেস তার হবে না । তার পুরা একটা রুমই লাগবে । যে রুমে সে একা থাকবে । আর তখন বান্ধবী আইলে কাউকে বাইরে চলে যেতে হবে না । কিন্তু এই রকম একটা রুম নিয়ে থাকতে গেলে ভাড়া দিতে হবে অনেক বেশি । তার পরিবার থেকে মাসে সিট ভাড়া খাওয়া এবং প্রাইভেট বাবত টাকা আসে মাত্র তিন হাজার টাকা । এখন যদি সে একটা রুম নিয়ে থাকতে চায় তাহলে মিনিমাম তাকে দুই হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে । কিন্তু এতো টাকা তার নাই ।
রবিন বুঝতে পারলো, নিরাপদে ঝামেলা ছাড়া যৌন জীবন উপভোগ করতে হলে তার টাকা ইনকাম করতে হবে । রবিন টিউশনি করা শুরু করলো । টিউশনির টাকায় রবিন ফ্ল্যাট বাসায় একটা রুম ভাড়া নিলো । এখন আর রবিনকে কোন মেস মেম্বার ডিস্টার্ব করে না । রবিন কখনো বান্ধবীদের নিয়ে আসে কখনো ফোনে সম্পর্ক গড়ে নিয়ে আসে আবার কখনো ফেইসবুকের পরিচয় থেকে সরাসরি রুমে নিয়ে আসে । রবিনের যৌন জীবন ভালোই কাটতেছিলো বছর খানেক ।
কিন্তু একদিন বিল্ডংয়ের কেয়ারটেকার রবিনকে ডেকে বললো, আশেপাশের লোকজন কমপ্লেইন দিছে । রবিনের সাথে একেকসময় একেকমেয়ে রুমে আসে । এতে বিল্ডিংয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে । এমনিতেই বিল্ডি-এ ব্যাচলর ভাড়া দিয়ে কথা শুনতে হচ্ছে তার উপরে নারী কেলেংকারি সহ্য করা যাচ্ছে না । ভাই আজকে থেকে ব্যাচলর বাসায় যেনো আর কোন মেয়ে না আসে ! নইলে বাসা ছাইড়া দিতে হবে !
রবিন চিন্তা করলো এইসব হবে না ! তার দরকার ফ্যামেলি বাসায় সাবলেট । ফ্যামেলি বাসায় মেয়ে আসা যাওয়া করলে কোন সমস্যা হবে না কেউ কমপ্লেইন দিবে না । কিন্তু ফ্যামেলি বাসায় সাবলেট থাকতে গেলে তার যে টাকা লাগবে সেই টাকা তার নাই । রবিন বুঝতে পারলো , রবিন যদি অবাধ এবং আরামদায়ক যৌনজীবন উপভোগ করতে চায় তাহলে তার কাছে উপায় একটায় তাকে পারমানেন্ট কিছু একটা করতে হবে । টিউশনির টাকা দিয়ে আরামদায়ক উপভোগ্য জীবন যাপন করা সম্ভব নয় ।
রবিন পার্টটাইম চাকরি করা শুরু করলো । রবিনের মাথায় একটায় চিন্তা নিরাপদে যৌনজীবন উপভোগ করা ! কিন্তু পার্টটাইম জবের টাকা দিয়ে রবিন যে জীবন চায় সেই জীবন উপভোগ করা সম্ভব নয় । তাই রবিন পার্মানেন্ট কিছু খুঁজতে থাকে । বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির জন্য সিভি পাঠাইতে থাকে । রবিনের মনে হয় তার একটা চাকরি হলেই সে একটা সাবলেট বাসা নিতে পারবে তারপর আর কোন ঝামেলাই থাকবে না !
রবিন অনেক মেয়েকে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে । কিন্তু বেশির ভাগ মেয়ে হোটেলে সেক্স করাকে নিরাপদ মনে করে না । তবে দুই একজন যে যায় না তা না । কিন্তু হোটেল ভাড়া খাওয়া খরচ সব মিলিয়ে যে টাকা খরচ হয় তাতে রবিনের পোষায় না ।
একদিন রবিনকে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি থেকে ফোন করে ইন্টারভ্যুর জন্য ডাকা হয় । ইন্টারভ্যুর পর রবিনকে বলা হয়, তিন মাস ট্রেনিং করাবে দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে । বাইরে নিয়ে যাওয়ার খরচ ওখানে থাকা খাওয়ার সব খরচ কোম্পানির । এই সময় মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন দিবে । ট্রেইনিং শেষ করে দেশে আসলে মাসে দশ হাজার করে বেতন দেওয়া হবে । তারপর থেকে বেতন পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করে বাড়ানো হবে । রবিনের টাকায় শুধুমাত্র পাসপোর্টটা করতে হবে বাকি সব খরচ কোম্পানির !
রবিনের চোখের সামনে ভেসে উঠে অসংখ্যা নারীর নগ্ন শরীর ! রবিন এইবার পারবে তার যৌন জীবন উপভোগ করতে । রবিনের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক !
রবিন দেশে আসার পরপর একটা সাবলেট বাসা ভাড়া নেয় । রবিনের এখন আর অর্থনৈতিক ক্রাইসিস নাই । রবিনের এখন প্রয়োজনের চাইতে বেশি টাকা আছে । কেউই কোন কমপ্লেইন দিচ্ছে না । সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে । রবিন একটা বিষয় বুঝতে পারলো, যে সব মেয়েরা ফ্ল্যাট বাসায় যাইতে চাইতো না তারা কিন্তু সাবলেট বাসায় আসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় । রবিনের কাছে মনে হয়, মেয়েরা আসলে নিরাপত্তা চায় সবার আগে । রবিন যদি মেয়েদেরকে সিকিউরিটি দিতে পারে বুঝাতে পারে তার বাসা নিরাপদ তাহলে রবিনের যৌন জীবন উপভোগ করার সুযোগ অনেকখানি বাড়বে ।
কিন্তু বছরখানেকের মাথায় যাদের সাথে সাবলেট থাকে তারা কমপ্লেইন দিলো, গলির বাকি ফ্যামেলিরা রবিনের মেয়ের ব্যাপারটি নিয়ে কানাঘুষা করছে । রবিন বিরক্ত হয়ে চিন্তা করলো বাল এইসব সাবলেট টাবলেটে তার হবে না । তার একটা পুরা ফ্ল্যাট দরকার । যেখানে তিনটা রুম থাকবে । দুইটা বাথরুম থাকবে কিচেন ডাইনিং থাকবে এবং বেলকনি থাকবে । একটা রুমে সে থাকবে আরেকটা রুম বন্ধু বান্ধবীরা আসলে আড্ডা ফাড্ডা দিবে আরেকটা রুম হবে তার লাইব্রেরি ।
এই রকম একটা বাসা নিতে গেলে তার দশ হাজার টাকা মাসিক বেতনে হবে না । তাকে মিনিমাম বিশ হাজারের উপরে ইনকাম করতে হবে । রবিন সিদ্ধান্ত নিলো চাকরিতে মনযোগ দিতে হবে । কঠোর পরিশ্রম করতে হবে । কঠোর পরিশ্রমই থাকে চাকরিতে প্রমোশন দিবে । আর প্রমোশন মানেই টাকা ।
রবিন টানা একবছর মনোযোগ দিয়ে চাকরি করলো । রবিনের প্রমোশনও হলো পরপর অনেকগুলা । রবিনের সেলারি আনএক্সপেক্টেট ভাবে বেড়ে গেলো । রবিন তার স্বপ্ন এইবার চাইলেই পূরণ করতে পারে ।
মাসে দশ হাজার টাকায় রবিন একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিলো । ফ্ল্যাটটা রবিন যে রকম চেয়েছিলো ঠিক সেই রকম । রবিন মধ্যরাতে বাসায় আসলেও কেউ কিচ্ছু বলার নাই ! রবিনের বাড়িওয়ালা রবিনকে অনেকবার দেখেছে মাতাল হয়ে টলতে টলতে সিড়ি দিয়ে বাসায় উঠতে । অনেকবার দেখেছে একেকসময় একেকমেয়ে নিয়ে রবিন উপরে উঠছে আবার উপর থেকে নিচে নামচে কিন্তু কিচ্ছু বলে নাই ।
বাড়িওয়ালার পরিস্কার কথা, বিল্ডিং-এর অন্য ভাড়াটিয়ারা কমপ্লেইন না দিলে তার কোন ঝামেলা নাই । সে মাসের প্রথম সাপ্তাহে ভাড়া পেলেই হলো । রবিন প্রথম সাপ্তাহেই ভাড়া ক্লিয়ার করে দেয় । ভাড়িওয়ালা রবিনকে গেইটের একটা চাবি দিয়ে বলে , বাবা তুমি অনেক দেরিতে আসো আমারও ঘুম থেকে উঠে গেইট খুলে দিতে কষ্ট হয় তুমি ঢুকে গেইট আবার তালা দিয়ে দিও ।
রবিন তার যৌন জীবন এখন অনেক আরামের সহিত উপভোগ করতে পারছে । আগে যেসব মেয়েরা মেসে ফ্ল্যাটে কিংবা সাবলেট বাসায় আসতে চাইতো না তারা কিন্তু রবিনের ফ্ল্যাট বাসায় এসে রাতে দিনে থেকেও যাচ্ছে । রবিনের কাছে একটা বিষয় পরিস্কার হয় যে, মেয়েরা বয়ফ্রেন্ড কিংবা বন্ধুর কাছে নিরাপদে সেক্স করার গ্যারেন্টি পাইলে তারা আগ্রহের সাথেই সেক্স করতে রাজি হয় ।
রবিনের বন্ধু বান্ধব এবং কাছের পরিচিত জনের অনেকেই অতি সেক্স আসক্তির জন্য রবিনকে পছন্দ করে না । কিন্তু রবিন বিশ্বাস করে রবিনের সেক্স আসক্তি তার জীবন বদলিয়ে দিয়েছে । আজকে রবিনের ফিনেন্সিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্ট হওয়ার পিছনে যে গল্পটা লুকিয়ে আছে সেই গল্পটির নাম সেক্স আসক্তি ।
কে কি মনে করলো না করলো তাতে রবিনের কিচ্ছু আসে যায় না । রবিন জানে রবিন নিজের কাছে অনন্য এবং অসাধারণ । জীবনের লক্ষ্য একটাই , ভালো থাকা । রবিনের ভালো থাকার অধিকার রয়েছে । রবিনের কাছে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন যাপন করতে পারার নামই ভালো থাকা ।
রবিন মনে করে , যৌন আসক্তি , ভেরিয়েশন অব সেক্স , মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ বিয়ে বহির্ভুত যৌন জীবন উপভোগ দোষের বা অপরাধের কিচ্ছু না ! রবিন বিশ্বাস করে , নারী নেশা এবং রাতের শহর উপভোগ ছাড়া একজন মানুষ পরিপূর্ণ ভালো থাকে না !
জিপসি রুদ্র
৩সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন