সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

চাওয়া বেশ অল্প.../ জিপসি রুদ্র

আমাদের নগর পিতা নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে । নগরের পিতা আগেও ছিল। এখনো হবে । কে হবে, নয়া ? না পুরান ? । তা আমার ভবিতব্য নয় ! কারণ নগরে পিতা থাকলেও কি! না থাকলেও কি ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না । এরা আমার কোন চাওয়ারই প্রতিফলন করতে পারে না ! তাই তাদের একেবারেই আমার দরকার নেই ! 

এইবার বলি আমার চাওয়া গুলো কি কি । আমার চাওয়া গুলো নেহায়তই বেশ ছোট । চাইলেই তারা পূরণ করতে পারে । আমার চাওয়া তারা কতো টাকা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নয় ছয় করবে সেটি জানা না । আমার চাওয়া তারা আওয়ামীলীগ নাকি বিএনপির কর্মীদের দিয়ে নৈরাজ্য করবে সেটি জানাও না । আমার চাওয়া তারা এখন যেভাবে জনগনের দ্বারে দ্বারে প্রতিদিন যাচ্ছে ঠিক সেইভাবে প্রত্যেকদিন ধরনা দিবে ভবিষ্যতে-এমন প্রত্যাশাও না...
আমার চাওয়া শুধু তারা নগরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে , যেভাবে তারা তাদের গায়ের শার্টটি পরিস্কার রাখে। ডাস্টবিনের দুর্গন্ধে পেট মুচড়িয়ে বমি আসে । আমার নগরে রাস্তার উপর ময়লার স্তূপ অথবা ডাস্টবিন কোনটায় দেখতে চাই না । আর নগরের ভেতর প্রত্যেকটি ফুটপাত দখলমুক্ত করবে । ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গিয়ে যদি কোন বুদ্ধিজীবী কোন রাজনীতিবিদ কোন কলামিস্ট মায়া কান্না দেখিয়ে হকারদের পক্ষে কথা বলে , বক্তব্য দেয় ,অথবা কোথাও লেখে তাহলে তাদের বাড়িতে উচ্ছেদকৃত হকারদের দুজন করে যেন পাঠিয়ে দেয় । কারণ সমস্যা বলা নয় সমস্যা সমাধান করায় আমাদের লক্ষ্য ।

কাল্পনিক নয় ! সত্যি / জিপসি রুদ্র

(এটি কাল্পনিক কথোপকথন নয় । এটি ভরপুর নেশা করার পর আমার মাতলামি । মাতালদের দোষ বিবেচনায় ধরা হয় না ! )
স্যার ছেলে গুলো আপনার দলের । এরেস্ট করবো ?
-খবরদার ! এরা দলের শক্তি । আমাদের অতি আদরের ছেলে পেলে । অনেক গুলো শেয়ালের মধ্যে দুই একটি মুরগি ঢুকে গেলে যা হয় ! এদের এরেস্ট করা যাবে না ! এরেস্ট করলে পাবলিকের কাছে বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হবে !

স্যার এইটা নিয়ে সবাই আমাদের দোষ দিচ্ছে । উঠতি উঠতি পোলাপাইনরা তো কথায় কথায় পুলিশের দিকেই আঙ্গুল তুলে ! ভীষণ ঝামেলাবাজ! তারা দলের চাইতে সত্য কথা আগে বলে !আমরা তো স্যার আপনাদের দিক থেকেও আর পাবলিকদের দিক থেকেও ভীষণ চাপে আছি !
-
ব্যাপার না ! পাবলিকদের আই ওয়াশ করার জন্যে একটা টেলিভিশন চ্যানেল কে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । তারা বেশ কিছুদুর এগিয়েছে । আপাতত দাড়িওয়ালাদের উপর চালিয়ে দেওয়া হয়েছে । পাবলিক বিশ্বাস করতে শুরু করেছে । একটা বিশ্বাসযোগ্য গল্প বানিয়ে চালিয়ে দিতে পারলেই পাবলিক বিশ্বাস করে । পাবলিক বিশ্বাস করতে ভালোবাসে ! তারা ভীষণ বিশ্বাসী ।
স্যার ঘটনা টা কিন্তু আপনার দলের কিছু ছ্যাঁচড়া ছেলে পেলে করেছে । সবাই দেখেছে । এইটা স্যার তাবৎ নারীর অপমান । আমার মনে হয় এরেস্ট করা দরকার । নইলে এই দেশে নারীরা ভীষণ অনিশ্চয়তায় ভুগবে ।
-
খবরদার ! এরেস্টের কথা মুখে আনবেন না । এরা আমাদের সোনার ছেলে ! এদের নিয়েই আমাদের রাজনীতি । চাকরির মায়া আছে ? নইলে দেখবেন বাকি জীবন বুড়া বয়সে বউ বাচ্ছা নিয়া না খেয়ে মরতে হবে !
ইয়েস স্যার ! ইয়েস স্যার ! তাইলে কি স্যার দুই একজন দাড়িওয়ালারে ধরে নিয়ে এসে খোঁয়াড়ে দিবো ?
-
গুড ! এতক্ষণে লাইনে এসেছেন । না এখন না । আমি বলবো । উপর লেভেলে একটু আলোচনা করতে হবে । শুনছি আপাতত ফারজানা রুপা টোপ ! আপাতত চেপে যান !
ইয়েস স্যার!

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৫

পুরুষের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো নয় । নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করায় হোক উদ্দেশ্য / জিপসি রুদ্র

আজ গিয়েছিলাম নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে । আমি জানি এই সমস্থ মানববন্ধন আর রাস্তায় গোল হয়ে বক্তৃতা দেওয়া  আন্দোলনে কিচ্ছু হয় না । তারপরও গিয়েছিলাম । এই সমস্থ আন্দোলনে মূলত মিডিয়া আর পুরুষ মানুষের লাভ হয় । মিডিয়া কিছু রসায়ন যুক্ত খবর পায় আর পুরুষরা আরও মজা পায় । ইস্যু বেশ রসালো ! আর মিছিলের সামনে নারী !
সমস্যার সমাধান কিচ্ছু হয় না । এক নারী বক্তা নারীর ড্রেস কোড ঠিক করে দিলেন , বললেন, "নারী ফতুয়া পরবে । জিন্স পরবে । যেন সহজে মুভ করা যায় । যাতে কোন পুরুষ টিজ করতে আসলে তাকে দৌড়ে গিয়ে ধরে থাপড়ানো যায় " ।
এটি পুরুষের প্রতি বেশ বিদ্বেষ ছড়ানো টাইপ বক্তৃতা । কেউ টিজ করেছে , এটি একটি অপরাধ । আর কেউ অপরাধীকে মারছে এটি আরেকটি অপরাধ । মোদ্দা কথা এই টাইপ বক্তৃতা একটি অপরাধকে থামাতে আরেকটি অপরাধের উস্কানি দেয় !সমস্যার সমাধান চাই । সমস্যা বাড়াতে নয় বেবি !
ছেলেরা নারীদের প্রতি এতো সহিংস কেনো
ছেলেরা চায় নারীদের সঙ্গ পেতে ।কারণ এটি বেশ উপভোগ্য !তারপর একটু রসায়ন । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার এইখানে’তো নারী পুরুষের সম্পর্ক ইজি গোয়িং নয় । একটি ছেলে একটি মেয়ে এই সময়েও আলাদা আলাদা পাঠকক্ষে পাঠ নেয় । তখনই বুঝতে শিখে  নারী পুরুষের সহাবস্থান এইখানে পাপ ! একটা নারীর সাথে একটা ছেলে কথা বলতে গেলেও নারীটি লজ্জায় লাল হয়ে যায় ছেলেটি আমতা আমতা করে !
এই বাজে চর্চা একদিনে হয়নি ।এটি শতবছরের আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া বাজে সংস্কৃতি।
ছেলেদের গহীনে নারীর প্রতি যৌনতার আকাঙ্ক্ষা বাড়তে থাকে । কিন্তু একটা সময়ের আগে যৌনতা এইখানে নিষিদ্ধ । তখন ছেলেরা আস্তে আস্তে শেয়াল হওয়ার চেষ্টা করে । আর শেয়াল যখন একা একটা মুরগিকে পেয়ে যায় তখন মুরগির শরীরে কোন অংশ ধরে টান দিবে তার হুশ থাকেনা । ব্যাপার টা এমন ! অনেক সাধের মুরগি আমি পেয়েছি ! খেতেই হবে !
আমরা যদি নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারি তাহলে কমতে থাকবে নারীর প্রতি পুরুষের সহিংসতা ।একটা সময় একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে এটি । এইটা করতে হলে বাঙলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে ।কারণ গোটা দেশের প্রায় সকল বাচ্চা এখন স্কুল মাদ্রাসা মুখী ।ছেলেরা বুঝতে শিখবে আমার পাশে বসে থাকা মেয়েটি আমার বন্ধু অথবা আমার বোন । অথবা আমার প্রেমিকা । সমস্যাটা যেহেতু মগজে তাই চিকিৎসাটা মগজ থেকে  শুরু হওয়া বেশ কামেয়াবি ! 
এই সময়ে নারী পুরুষের আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যুক্তিকতা আমি একেবারেই খুঁজে পাই না ।
অন্যান্য বিষয় তো আছেই ! রাস্তায় প্রেমিকার হাত ধরে হেঁটে যাবো সবাই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে । অতি আদরের প্রেমিকাকে চুমু খাবো পিছন থেকে পুলিশি বাঁশি !পিপ !
প্রেম এইখানে এখনো পাপ । তাই এইটা ভীষণ গোপন রাখতে হয় ।নইলে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ যৌনতা কেন অপরাধ হবে ?

এইখানে নারী পুরুষের আলাদা আলাদা অবস্থান পুরুষদের ভেতর ক্রাইসিস তৈরি করেছে । যেটা পরে ভায়োলেন্সে রুপ নেয় । যেটা কাম্য নয় । 
আসুন পুরুষের প্রতি বিদ্বেষ নয় । নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সবাই সমান জায়গা থেকে কাজ করি ।একটু শিখিয়ে দিই না পাশের জনকে , এই ! নারী পুরুষ সম্মতিক্রমে চুমু খেলে গুনাহ হয় না !