শনিবার, ৯ মার্চ, ২০১৩

“একজন মাতাল ক্ষ্যাপাচোদা কবি’র পাগলামি “ট্যাইলা খেলুম , ফাউল নাই...” / জিপসি রুদ্র


ওই খানকির পোলা তোগো মায়েরে আমি চুদি!!!! তোরা কি এই বাঙলায় জন্মাস নাই নাকি তোগো মা তোগোরে পাকিস্তানে জন্ম দিছিল? তোরা এই দেশে থাকবি-খাবি আর গুনকিত্তন গাইবি পাকিস্তানের!!!!  তোগো মায়েরে আমি চুদি খানকির পোলা, তোরা কি এই দেশটারে হোগা মারার দেশ পাইছস?  
ওই খানকির পোলা হেই দিনের কথা আমার মনে হইলে আমার শরীর তরতর কইরা কাইপা উঠে, ট্যাঙের রক্ত মাথায় উইঠা যাই চক্ষের সামনে ভাইস্যা উঠে  খালি লাশ আর লাশ। যুবতীর ভারি শরীরের উলঙ্গ লাশ এইদিক সেইদিক পইরা আছে। তখন ইচ্ছা করে আমার চকির নিচ থেইকা রাম দা টা বাইর কইরা ওই রাজাকারের কল্লাটা ফালাইয়া দি। কিসের এত বিচার? কিসের এত ফাঁসির দাবী? ওই খানকির পোলা আমি কইতাছি তোগোরে “এইবার ট্যাইলা খেলুম, ফাউল নাই রেফারি আমি, বাঁশি বাজামোনা, রাজাকার শেষ কইরা আইতে হইবো” যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করে তাদের জন্য আবার কিসের মানবতা?
ওই খানকির পোলা একটা কুত্তারও দেশপ্রেম আছে । তার এলাকায় অন্য কুত্তা হাদ্দায়লে সে ঘেউ ঘেউ করে তাকে খেদিয়ে দেয়। আর তোরা খানকির পোলা ওই কুত্তার চাইতেও খারাপ। তোগো চক্ষের সামনে রাজাকাররা হাত তালি দিতাছে তোগো শহীদ মিনার ভাংতাছে আর তোগো ভাইয়ের টাটকা গরম রক্তে কেনা লাল সবুজের পতাকা ছিঁড়া টুকরা টুকরা কইরা ফালাইতাছে আর তোরা আমার বালটাও করতে পারলিনা। খানকির পোলা তোগো মায়েরে আমি চুদি!!!
দেশ স্বাধীন হইছে চল্লিশ বছরের বেশি হইল । বহু সরকার আইল গেইল। কামের কাম আমার বালটাও হইল না। এই চল্লিশ বছর কোন সরকার ই দেশের বিরোধিতাকারী ওই রাজাকারের বিচার করতে পারে নাই।  তোগো বাপের দলও পারে নাই তোগো ঘোষকের (?) দলও পারে নাই। দুই দলই আমাগো মাথায় লবন রাইক্ষা বরই খাইছে। আর আমাগো পাছায় তরতাজা বাঁশ হাদ্দায়ছে।
এখন রাজাকারের বিচার  চলতাছে। দেশপ্রেমিক পোলা মাইয়ারা সরকারে গলা চাইপ্পা ধরছে। কোন আঁতাত নয় কোন প্রহসন নয় কোন ভুজং ভাজুং নয় দিতে হইবো ফাঁসি। তারা খাইয়া না খাইয়া এক জায়গায় দাঁড়াইয়া গেছে। বলে দিছে রশিতে না ঝুলাইয়া বাড়ি ফিরবে না। ওই খানকির পোলা তোরা আমারে ক ওদের কি কোন লাভ আছে নাকি কোন ক্ষমতার লোভ আছে? এইখানে তাদের কোন লাভ নাই শুধু তারা চাই রাজাকার মুক্ত বাঙলাদেশ। 
আর তোরা খানকির পোলা কি করতাছস ? “ কইতাছস ফাঁসি দিয়া দিলে কি সব সমস্যা সমাধান হইয়া যাইবো? সরকারি দলেও তো রাজাকার আছে তাদেরও বিচার করতে হইবো। রাজাকার কি খালি বিরোধীদলে?”  তোগো এই সমস্থ কথা শুনলে আমার মাথা আউলাইয়া যাই। ওই খানকির পোলা রাজাকার যেই দলেই থাকুক সে রাজাকার তার শাস্তি একটাই । ফাঁসি। তোরা যে দেশে জন্মাইছস  সেই দেশের বিরোধিতাকারী তোগো চক্ষের সামনে হাত তালি দিব আর তোরা কিছুই করতে পারবি না?ভুইলাযাইস না ত্রিশ লাখ শহীদ বুকের টাটকা রক্ত দিয়া আর দুই লাখ মা বোন ইজ্জত দিয়া তোগো  জন্য এই দেশটা কিনছে।  তোরা ভুইলাযাইস না এই দেশ তোদের। এই দেশের আলো বাতাস তোদের। এই মাটি তোদের। এই মাটির পবিত্রতা  তোগো রক্ষা করতে হইবো। তোগো যত দুঃখ আছে সেগুলোকে ক্ষোভে পরিনত কর । এতদিনের মৌনতাকে রাজাকার নিধনের শপথে আন। তারপর শরীরে সমস্থ শক্তি কণ্ঠে আইনা বল...
“ আমার মাটি আমার মা, রাজাকারকে দিব না
আমার সোনার বাঙলায়, রাজাকারের ঠাই নাই”

ম্যাডাম আপনার আল্লাহর ও হারানো সতিত্বের দোহাই লাগে... / জিপসি রুদ্র


আমার দেশের ঘোষক(?) এর দল  দাবী করে তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের। এটি যে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পায়তারা মাত্র তা আজ আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে চল্লিশ বছেরর বেশি হচ্ছে। কিন্তু দেশ তার বিরোধিতা কারীদের এত দিন কিচ্ছু করতে পারেনি । বাপের দলও পারেনি ঘোষক (?) এর দলও পারেনি। বরং আমরা তাদের লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়ে সম্মান করেছি ।
এখন আমাদের হাঁটুর বয়সী ছেলে মেয়েরা না খেয়ে না ঘুমিয়ে সকল রাজাকারের ফাঁসির দাবী নিয়ে যখন সরকারের উপর চাপ তৈরি করছে আমার বিরোধী দলীয় ম্যাডাম বইলা বসলেন “সাম্প্রদায়িকতা” উস্কে দিচ্ছে। গনহত্যা শুরু করছে। ডাক দিলেন হরতাল।
ম্যাডাম আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধার বউ। আপনার জামাই সরাসরি পাকিস্তান আর আপনি এখন যাদের পক্ষ নিলেন তাদের সাথে যুদ্ধ করে দেশটারে স্বাধীন করছে। আর আপনি সেই সময় কি পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন সেটা নিশ্চয় এখনও ভুলেন নাই?
ম্যাডাম আপনার আল্লাহর ও হারানো সতিত্বের দোহাই লাগে ওই রাজাকার জামাত এর সাথে সমস্থ সম্পর্ক বাদ দেন আর অতীত সম্পর্কের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুণ। আর হাঁটুর বয়সী ছেলে মেয়েরা যে দাবী তুলেছে সেটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করুণ। তাহলে আপনার দলের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরে আসবে। অন্যথায় আপনার দল “নব্য রাজাকার” উপাধি নিয়ে ইতিহাসের অতলে তলিয়ে যাবে।

ম্যাডাম খালেদা’র কাছে খোলা চিঠি... / জিপসি রুদ্র


রাজাকার ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান আমি ভণ্ডামি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছিনা। ভণ্ডামির একটা শেষ থাকে বা কিছু কিছু নৈতিক বিষয় নিয়ে মানুষ ভণ্ডামি করতে পারেনা কারণ বিবেক বাঁধা দেয়। কিন্তু ম্যাডামের ভণ্ডামির  মাত্রা এত বেশি তার কাছে বিবেক নামক জিনিসটি আর আছে কি নাই সেটা নিয়ে আমি যথেষ্ঠ সন্দিহান।
ম্যাডাম আপনার জামাই কাদের বিপক্ষে ৭১ এ যুদ্ধ করেছিল? আর আপনি যুদ্ধের সময় কাদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছিলেন? এইসব বিষয় গুলো কি আপনি বেমালুম ভুলে গেলেন? যদি ভুলে না যান তাহলে কি কারনে কিসের স্বার্থে কার জন্য ওই একাত্তরের বেজন্মা জামাতের পক্ষ নিলেন? ক্ষমতার লোভে ? আপনার কি একবারও মনে হচ্ছে না একাত্তরে বিরোধী শক্তি জামাতের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার দামে আপনি আপনার সতীত্ব বিক্রি করছেন? বিরঙ্গনা হিসাবে আমি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান দিতাম কিন্তু গতকাল আপনি আপানার সংবাদ সম্মেলনের মধ্যমে সেই সম্মানে ছুরি চালিয়েছেন। আমি আগে থেকেই জানতাম আপনার প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান কম কিন্তু গতকাল বুঝতে পারলাম আপনার মাথা পুরাই মাল শূন্য। আপনি একটা টিয়া পাখি। অন্যের শিখানো বুলি আওড়ান মাত্র।
আপনার দলে যারা মুক্তিযোদ্ধা আছে বা যারা রাজাকারের ফাঁসি চাই আপনার এই সংবাদ সম্মেলন কি তাদের মুখ চিরতরে বন্ধ করে দেয় নি? ওরা কি কখনও মন থেকে আপনাকে ক্ষমা করতে পারবে বা আগের মত আপনাকে গ্রহন করতে পারবে? দলের অবস্থানের জন্য হয়ত তারা কিছু বলতে পারছেনা কিন্তু তাদের মনের ভেতর যে দহন সে দহনে আপনি পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন ।
আপনি যে কথা গুলো বলেছেন তার মধ্যে “সাম্প্রদায়িকতা” “গনহত্যা”র মত শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন। আপনি কি এই শব্দগুলো ব্যবহারের আগে একবারও চিন্তা করেছেন। আমি এগুলো কোথায় ব্যবহার করছি? সাম্প্রদায়িকতা সরকার উস্কে দেয়নি দিয়েছে আপনার দলের সহায়তায় একাত্তরের বেজন্মা জামাত। আপনি কি গনহত্যার মানে জানেন? যদি না জানেন তাহলে শব্দটি ব্যাবহারের আগে জেনে নেওয়া উচিত ছিলনা?  সন্ত্রাস দমনের জন্য বা নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য হত্যা কি গণহত্যা?
  এই প্রজন্ম অনেক বেশি শিক্ষিত অনেক বেশি যুক্তিবাদী। আপনার কি মনে হয় এই সমস্থ অতিমাত্রার সস্তা ও হাস্যকর কথা বলে আপনি তাদের আপনার দলে টানতে পারবেন? গতকালের সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে আপনি এই প্রজন্মের মন থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে সরে গেছেন।
 ম্যাডাম সোজা সহজ একটা কথা আপনাকে বলতে ইচ্ছা করছে এই দেশটি যেমন আস্তিকের তেমনি নাস্তিকেরও। তাই আস্তিক নাস্তিক ভাগ না করে আমরা সমবেত হয়ে তরুন প্রজন্মের সাথে একটা দাবীই তুলি “আমার সোনার বাঙলায়, রাজাকারের ঠাই নাই”। “আমার মাটি আমার মা, রাজাকারকে দেব না”।