বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

ইসলামের শত্রু মুসলমানরাই


ধর্মকে
 অপমান আমার উদ্দেশ্য নয় । আমাকে মারবেন না ! 
২০০৩ সালের শেষের দিকে করা এক জরিপ অনুযায়ী বাঙলাদেশের গোটা জনসংখ্যার ৯০.৪ ভাগ ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলমান। ৮.২ ভাগ হিন্দু । বাকি ১.৪ ভাগ বৌদ্ধ আর খৃস্টান ধর্মাবলম্বী । এই রিপোর্টে বলা হয়েছে , বাঙলাদেশে নাস্তিক খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর ! " atheism is extremely rare." 

২০০৩ থেকে ২০১৫ । এই সময়ের মধ্যে বাঙলাদেশে কতজন নাস্তিক হয়েছে ? আমরা যদি বাঙলাদেশের জন্ম থেকে আজ দিনটি পর্যন্ত হিসাব নিকাশ করি তাহলে হিসাবটা এই রকম দাঁড়ায় । বাঙলাদেশের বয়স প্রায় ৪৪ (চুয়াল্লিশ) বছর । ১৯৭১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত এই ৩২ বছরে বাঙলাদেশে নাস্তিক খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। বলছে জরিপ ।২০০৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এই বার বছরে নাস্তিক হলেও সেটি নেহাতই বেশ অল্প ।
অথচ এই অল্প কজন নাস্তিকের জন্যে গোটা জনসংখ্যার ৯০.৪ ভাগ ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলমান জঙ্গি হয়ে গেছে ! এখন মোল্লা দেখলেই বুকের ভেতর কেমন যেন চিনচিন করে ! মোল্লা যত পরিচিতই হোক না কেনো মনে হয় আড়ালে তার জঙ্গি হাসে !
ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলমানরা যদি তাদের চিন্তা আর প্রজ্ঞা'র জায়গায় কাজ না করে তাহলে এই ইসলাম ধর্ম পৃথিবীর সবচে আতংকের ধর্মে পরিণত হবে । এখন ইসলাম ধর্ম এমন হয়েছে , এই ধর্ম নিয়ে কথা বললেই কোন এক অজ্ঞাত জায়গা থেকে রক্তের গন্ধ ভেসে আসে ! মুসলমানদের নিয়ে বেশ হাস্যকর একটা জোকস প্রচলিত আছে নাস্তিক সমাজে , " যে মসজিদে যাচ্ছে নামাজ পড়তে সেও মুসলমান । আর যে মসজিদে বোমা মারছে সেও মুসলমান" ।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি , ইসলামের শত্রু মুসলমানরাই । হাতে গোনা কয়েকজন নাস্তিক দিয়ে এতো বড় ধর্মের কিচ্ছু করা সম্ভব নয় । এটা মুসলমানরা যতো তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততো তাড়াতাড়ি আমার বাপ দাদার শান্তির ধর্ম ইসলামের হারানো সুনাম পুনরুদ্ধার করতে পারবে 

ধর্ম বিরোধিতা আর আর নাস্তিকতা এক জিনিস নয় / জিপসি রুদ্র

নাস্তিকতার সাথে ধর্মবিরোধিতার কোন সম্পর্ক নাই । নাস্তিকতার মানেই হল অবিশ্বাস । কার প্রতি অবিশ্বাস ? ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস । এটাই নাস্তিকতা ।যারা অমুক ধর্মকে গালি দেয়, তমুক ধর্মকে গালি দেয়, তারা সবাই অমুক ধর্মের বিরোধী তমুক ধর্মের বিরোধী টাইপ লোক ।তারা নাস্তিক নয় । 

আমার অফিসে প্রায় হাজার খানেক নারী পুরুষ আমার অধিনে কাজ করে এবং তারা প্রত্যেকেই জানে তদের বস নাস্তিক ।একদম বিশুদ্ধ নাস্তিক। প্রতিদিনই তাদের নানান রকম সমস্যা আমাকে সমাধান করতে হয় । একদিন এক ছেলে এলো অফিস ছুটির আধ ঘণ্টা আগে । বললো , বস... আমি বললাম, কি হয়েছে ? আমাকে আমার সুপারভাইজার আসরের নামজ পড়তে যেতে দিচ্ছে না । তোর সুপারভাইজার কে ? মাসুদ বস । বল তারে আমি ডাকছি । ছেলেটি দৌড়ে গিয়ে তার সুপারভাইজার মাসুদ'কে ডেকে নিয়ে এলো । আর আমি নির্দেশ দিলাম ।
যদি কেউ নামাজ পড়ার জন্যে যেতে চায় তাহলে তাকে যেন যেতে দেওয়া হয় । এটিই এখন আমার ফ্লোরের নিয়ম ।

"নিজের পথের পথিক হবি ।
জ্ঞান নিবি ওদের থেকে ।
ওদের পথের পথিক হলে
পাবি না তুই তোকে"