রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১১

জিপসী রুদ্র
জন সমূদ্রে প্রেম
ট্রাপিক সিগন্যাল...
রাষ্ট্রপতি হাত উছিয়ে নির্দেশ দিলেন
একটি গাড়ির চাকাও আর চলবেনা
তাবৎ গাড়ি গতিরোধ করল মুহূর্তে
রাস্তায় বাড়ছে উৎসুক জনতার ভিড়...
... নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় অস্তির পরিবেশ
দুনিয়ার সমস্ত টেলিভিশন সাংবাদিক ক্যামেরা হাতে প্রস্তুত
প্রেমিকা কোমর দুলিয়ে হেঁটে এলো জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর
মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা এলো
"প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার টোঁঠে"
খোলা আকাশের নিচে...

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১১

প্রেমিক ও বিপ্লবী / জিপসী রুদ্র

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমিই পৃথিবীর সর্বশেষ বিশুদ্ধ প্রেমিক। আমার পরে এই অঞ্চলে, এই নগরে, এই পৃথিবীতে আর কোন প্রেমিকের পত্তন হবেনা।
    এই মর্মে আরও স্বীকার করছি একদিকে প্রেম অন্যদিকে বিপ্লব মিশ্রিত ভাব নিয়ে পৃথিবীর আর কোন কবি কবিতা লিখবেনা।
    আমি এ ও বলছি যে, পৃথিবীর আর কোন বালক তার প্রিয়তম মা’র অশ্র“সিক্ত চোখ চরম বিরক্তিতে উপেক্ষা করে বিপ্লব চিত্তে মৃত্যুকে পরাজিত করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবেনা।
    আর কোন প্রেমিক ব্যথাসর্বস্ব হৃদয় নিয়ে তার হারানো প্রেমিকার জন্য হৃদয়ের গহীন দুয়ার খুলে রাখবেনা।
    আমার সমাধি ছাড়া পৃথিবীর আর কারও সমাধিতে লেখা থাকবেনা “মৃত্যু যার কাছে পরাজিত”।
    কারন আমিই পৃথিবীর সর্বশেষ বিশুদ্ধ প্রেমিক ও বিপ্লবী।

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১১

যদি ফিরতে পারিস / জিপসী রুদ্র


উৎসর্গ ঃ তোকে

দিয়ে দেব শরৎ আকাশ
নদীর ধারে ফড়িং উড়া কাঁশফুল
আর সদ্য জন্ম নেওয়া একটা প্রিয় কবিতা।
মেঘের কোলে রোদের হাসি
হেমন্তের বাতাসে ফসলের মেলা
আর গোপন রাখা না বলা কথা।
যদি ফিরতে পারিস....
দিয়ে দেব প্রজাপতির ডানায় ভেসে বেড়ানো স্বপ্ন
রাখাল মুখের বাঁিশর সুর
আর গোধুলির রক্তাক্ত বিকেল।
ফিরে আয়.... ফিরে আয়...
দিয়ে দেব যুবতী নদীর ভরাট যৌবন
আর পৃথিবীর সব সুন্দর।

ভাল ভেসে গেছে .../জিপসী রুদ্র

ভালবেসে কাছে এসে মরন জলে ভাসতে চায়
প্রেমিক মনের বিদগ্ধ চিৎকার শুনেনি কেউ
ভাল ভেসে গেছে বলে.....
                 চুলে জট ধরেছে
                                 নখের ভেতর জমেছে ময়লা
                                                    লক্ষ্যহীন হয়েছে স্বপ্ন
ভাল’বাসায় হয়নি গোপন অভিসার

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১১

এখন সময় ধর্ষিত ভালবাসার / জিপসী রুদ্র


সিগারেট ধর্ষন করে সিগারেটকে
সময় ধর্ষন করে সময়.....
ধর্ষিত হচ্ছে সকালের মিঠা রোদ
ধর্ষিত হবে আগামী খুব গোপন ভালবাসা
উত্তপ্ত উনুনে বুনিনি
পরিত্যক্ত হৃদয়ের ভালবাসা
শ্যামল হৃদয়ের মানুষ পাওয়া কঠিন জেনে
হেঁটেছি রুদ্রতাপের মরুদ্যানে
আবার হয়তো জমবে পুরানো ভালবাসার
মিছিল এই ধর্ষিত নগরে...

রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

কুড়িয়ে পাওয়া চিঠি / জিপসী রুদ্র


বিবর্ণ,
কেমন আছ জিজ্ঞেস করবনা। আমি জানি তুমি আমাকে ছাড়া অনেক কষ্টে আছ। কতটুকু কষ্টে আছ তার পরিমাপ আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বিবর্ণ আমার কিছু করার ছিলনা। আমার প্রতি তোমার ভালবাসা এত গভীর হয়ে উঠেছিল যে আমারও তোমার কাছ থেকে চলে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু তোমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাকে চলে আসতে হয়েছে।
বিবর্ণ তুমি বারবার জানতে চেয়েছ তোমার অপরাধ কি? আসলে তোমার কোন অপরাধ নেই। ভূল যা করেছি আমিই করেছি। আমিও জানতামনা যে আমার একাকিত্ব ঘোচাতে গিয়ে আমাকে এত বড় ভূল করতে হবে।
    এখন আমি যে কথাগুলো লিখব তা পড়ে তুমি স্থির থাকতে পারবেনা। তারপরও কথাগুলো তোমার জানা দরকার।
    বিবর্ণ আমি একজন বিবাহিত মহিলা। চার বছর তোমার সাথে সম্পর্কের মধ্যে আমি তা বুঝতে দেয়নি। অনেক সময় তুমি প্রশ্ন করলে আমি কৌশলে এড়িযে গেছি। বিয়ের একবছর আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্ক বেশ ভালই কেটেছিল। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি তার আগে একবার বিয়ে হয়েছিল এবং তারা দুজনে ভালবেসেই বিয়ে করেছিল। আমার স্বামীর বাবা মা আমার স্বামীকে চাপ দিয়ে তালাকের ব্যবস্থা করে। সম্পূর্ণ বিষয়টি গোপন রেখে দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়। একবছর পর বিষয়টি যখন আমি জেনে যাই শুরু হয় অশান্তি। আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি। এক পর্যায়ে তালাকের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমার বাবা মা ও ভাই বোনদের কথা ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। আমার স্বামী আমাকে কিছু না জানিয়ে চার পাঁচ দিনের জন্য ঢাকার বাইবে চলে যায়। সে ঢাকায় থাকলেও খুব রাত করে ঘরে ফিরে। তার এমন কোন কাজ নাই যে, সেই কাজ শেষ করতে এত সময় লাগে। আমি সারা  ঘরে একা। খুব অসহায় লাগত নিজেকে। আমার স্বামী আমার গায়ে হাত না তুললেও মানসিক যন্ত্রনা দিত প্রচুর। এত যন্ত্রনা সইতে না পেরে আমি আতœহত্যার সিদ্ধান্ত নিই। আবারও আমার ভাই ও বোনদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত থেকে ফেরত আসি। প্রচন্ড রকম মানসিক যন্ত্রনা এবং একাকিত্বের মাঝে তোমার সাথে আমার যোগাযোগ। তোমার বয়স আমার থেকে বছর চারেক কম হলেও তোমার ম্যান্টালিটি অনেক উচুঁতে। আমি আবার বাচাঁর সাহস পেলাম। আমি আমার সব কিছু গোপন করে তোমার সাথে সম্পর্ক তৈরী করলাম। তুমি আমাকে মানসিক সাপোর্ট দিতে লাগলে আর আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে লাগলাম। এক পর্যায়ে আমি তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে গেলাম। তোমাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেলাম। আসতে বললাম তোমাকে ঢাকায়। তুমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলে। সকাল আটটা থেকে রাত বারটা পর্যন্ত আমরা একসাথে কাটালাম। তুমি যখন আমার উপর হাত রাখলে আমি আমার আগের সব কষ্ট ভুলে গেলাম। বিবর্ণ, আমি আমার স্বামীর সাথে কখনও রিক্সায় ঘুরিনি। কখনো একসাথে বসে সিনেমা হলে সিনেমা দেখিনি। তোমার সঙ্গ, তোমার স্পর্স আমার প্রানে সাহস জোগায়।
    দিন যায় আমাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। তুমি ভালবাসার কথা জানালে আমি সাদরে সম্মতি জানাই। তুমি যতবারই ঢাকায় এসেছ ততবারই আমাকে আদর করতে চেয়েছ। কিন্তু কেন জানি আমার তোমাকে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করতনা। খুব কম সময় তুমি আমাকে আদর করতে পেরেছ। এমনও হয়েছে তুমি বিনা আদরে ঢাকা থেকে ফিরে গেছ। বিবর্ণ, বিশ্বাস কর তোমাকে ঠকাতে আমার ইচ্ছে করতনা। আমারও খুব কষ্ট হত বিনা আদরে তোমাকে ফেরত পাঠাতে। আমি জানি তুমি আদর করলে তোমার শরীরের উঞ্চতা বাড়বে। তুমি অনেক কষ্ট পাবে।
    এক পর্যায়ে তোমার আদর করার ইচ্ছে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। বিবর্ণ, আমি বিশ্বাস করি কাউকে গভীরভাবে ভালবাসলে তাকে আদর করতে ইচ্ছে করে। কাছে আসতে ইচ্ছে করে। তুমি আমাকে ভালবাস বলেই আমার কাছে আসতে ইচ্ছে করছে। আমিও তোমার ইচ্ছেকে শ্রদ্ধা করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসি। আমার এই চট্টগ্রামে আসাটাই তোমার জীবনের অভিশাপ।
    তোমার রুমে ঢোকার পর আমি অভাক হয়ে যাই আমার পোট্রেট। বিবর্ণ তুমি আমাকে এত ভালবাস। বিবর্ণ সত্যি সেদিন আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। আমি অনেক কষ্টে সংযত করেছি নিজেকে। একটা ছেলে আমাকে ভালবেসে পোট্রেট করেছে এর চেয়ে বড় কোন ভালবাসা আমি আমার জীবনে পাবনা।
    সারাদিন আমরা চট্টগ্রাম ঘুরে বেড়ালাম। ফয়েজ লেক, পতেঙ্গা, ডিসি হিল, সি আর বি তোমার প্রিয় জায়গা গুলোতে নিয়ে গেলে। তোমার সে কি আনন্দ।
    রাতে যখন রুমে আসলাম তখন আমার ভিতরে অস্থিরতা শুরু হল। আমার মাথা ঘুরতে লাগল। এখনি তুমি আমাকে আদর করতে চাইবে। এখনি তোমার প্রিয় আমার পায়ে চুমু খেতে চাইবে। এখনি তুমি তোমার সমস্ত ভালবাসা আমাকে দিতে চাইবে। আমি কি করব ভেবে পাচ্ছিলামনা। আমি ভেতরে ভেতরে ঘামতে লাগলাম।
    তুমি যখন ফ্রেশ হয়ে আমার হাত  ধরে চুমু খেলে আমার সমস্ত শরীরে মনে হল বিদ্যুৎ খেলে গেছে। তুমি আমার ঠোটে ঠোট রাখার পর বুঝতে পারলাম তোমার বাহুডোর থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে। তুমি আমাকে মাতালের মত আদর করছ। এক পর্যায়ে যখন তুমি আমার বুকে হাত দিলে আমি তোমাকে প্রচন্ড ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম। তুমি বেশ অবাক হয়ে আমার দিকে থাকিয়ে রইলে এবং আমি খুব স্ট্রংলি বললাম শুধু ঠোঁটে আদর ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেনা। যদি কিছু কর তবে সেটা ধর্ষন ছাড়া কিছু হবেনা।   
    মুুহুর্তের মধ্যে তোমার চেহারা অন্য রকম হয়ে গেল। তোমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। কারন আমি বিশ্বাস করি কেউ গভীর করে সত্যিকারের ভালবাসলে তার প্রভাব চুড়ান্ত ভাবে দেহে এসে পড়ে। তোমার বেলায়ও তা হচ্ছিল। কিন্তু সেটি যদি তখন হত সেটি হত তোমার জন্য চুড়ান্ত কষ্টের।
    সে রাত আমাদের দুজনের জন্য তীব্রতম কষ্টের রাত। প্রিয়জন পাশে থাকার পরও তাকে স্পর্শ করতে না পারার কষ্ট শুধু সেই জন বুঝে যে জন এরকম পরিস্থিতিতে পড়ে। আমি সে রাতে ভাবতে ছিলাম,তোমার পোট্রেট আর আমি দুজন ভিন্ন। পোট্রেট তোমার ভালবাসায় সিক্ত হয় আর আমি ইচ্ছা থাকার পরও সিক্ত হতে পারছিনা। কারন তোমার সাথে আমার সংসার করা সম্ভব নয়। আমার সংসার আছে। আমার সংসার কষ্টের হলেও সে সংসার ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব নয়। কোন পরিবারে বড় বোনের বিয়ে ভেঙ্গে গেলে ছোট বোনের ভাল কোন ঘরে বিয়ে হয়না।
    সকালে উঠে আমরা একসাথে নাস্তা করলাম,চা খেলাম। মনে হল সব স্বাভাবিক আছে। তুমি আমাকে রিকসা করে কাউন্টারে নিয়ে আসলে। খুব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছ। গাড়ীতে উঠার ঠিক আগ মুহুর্তে আমি তোমাকে বললাম ঢাকায় ফিরে গিয়ে তোমার সাথে আমি আর যোগাযোগ করবনা। তুমি শুধু জিজ্ঞেস করলে “কেন,আমার অপরাধ কি?” আমি বললাম সেটা ঢাকায় গিয়ে বলব। আমি গাড়িতে উঠে পড়লাম তুমি দাড়িঁয়ে রইলে।
    ঢাকায় এসে তোমাকে আর কিছুই জানানো হয়নি। আমি আমার সিম বদলে ফেললাম। এটাই ছিল আমার একমাত্র উপায় তোমার সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ করার। এই নাম্বার ছাড়া তুমি আমার আর কিছুই জাননা। কারন আমার আর কিছু বলার বা করার ছিলনা।
তুমি আমাকে ভূলে যাও। আমি জানি সেটা তোমার পক্ষে অসম্ভব। তারপরও বলছি ভূলে যাও। ভুলে গেলেই ভাল থাকতে পাববে। অন্যথায় শুুধু কষ্টই পাবে। তার চেয়ে ভুলে যাওয়াই ভাল। আমার পোট্রেটটা পুড়িয়ে ফেল আর আমার সমস্ত ছবি গুলো কম্পিউটার থেকে ডিলেট করে দাও। নুতন কওে কারও সাথে সম্পর্ক তৈরী করার চেষ্টা কর। আর এই মানুষটিকে পারলে ক্ষমা করে দিও। তোমার জন্য আমার ভালবাসা খুব গোপনে সারা জীবন বেচেঁ থাকবে।

ইতি
পিউনি

প্রাচীন
২৭, কে.বি প্লাজা
চকবাজার, চট্টগ্রাম।
০১৭৩১৭৪৫৪১১
০১৬৭৩০১১১৮০

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১১

বোহেমিয়ান ভালবাসা

ইচ্ছে করলেই মেঘ গুলোকে তোমার বলে দাবী করতে পার। পার বৃষ্টির সাথে তোমার øিগ্ধতার তুলনা করতে। সবুজের বুকে পা রেখে হয়ত বলতে পারবে দিগন্ত জোড়া খোলা মাঠটি আমার। শুধু পারবেনা মলিন চাদরের নিচে যে যুবক প্রেম লুকিয়ে রেখেছে তা আপন করতে......
হাত বদলের মিছিলে নিজেকে অংশীদার করে ভাবতে পারবে, “এইতো বেশ আছি”।
প্রানের উৎসবে মিলতে পারবেনা স্থুল চিন্তা নিয়ে।
পড়ে থাক স্মৃতি, পুড়ে যাক অতীত
ডুবন্ত সূর্য্যরে রক্তিম রুপ ধারন করে ভালবাসা হাটুক পোড় খাওয়া মানুষের সাথে অন্তহীন পথে......

বিশ্বাসের শূন্য মন্দির

তোমার চোখের উপর স্থির দৃষ্টি রেখে
হৃদয়ের উঞ্চতায় মিশতে চেয়েছিলাম..........
হৃদয় পুড়ল আমার হৃদয়-অনলে
আর এদিকে স্মৃতিগুলো হয়েছে
বিবাগী কষ্টের........
তীব্রতম যন্ত্রনা নিয়ে মাঝরাতে ঘুম থেকে
জেগে উঠি।
শূন্য মন্দিরে এখনও তোমার স্পর্শ খুঁজি......
হয়ত, কোন এক নিশ্চুপ রাতে মেঘের আড়াঁলে
আসবে তুমি পৃথিবীর সব রং নিয়ে.......
এ বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে আছি কষ্টের উল্টো পিঠে...