শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০১০

ফুলটির নাম কষ্ট কমানো ফুল / জিপসী রুদ্র

তুই আমার কষ্টের ভেতর
লালিত স্বপন
দহনের পর পড়ে থাকা জমা ছাঁই
দীর্ঘশ্বসের মধ্য দিয়ে যাপিত হয় দিনাতিপাত
ভালবাসার পর অবহেলা নিয়ে
পড়ে থাকি নতুন কষ্টের বাগিচায়
কাননে পাখি আসে, পাখি যায়...
লালনের প্রসাদ হাতে নিয়ে
আমি প্রতিায়...
কবে ফুটবে কষ্ট কমানো ফুলটি

আর্তনাদ / জিপসী রুদ্র

উদ্ভাস্ত এক পথিক আমি
প্রতিটি কদম সামনে বাড়ায়
অফুরন্ত ভালবাসার খোঁজে...
একজন প্রেমিকার জন্য জিপসী মনের
ব্যাকুল আর্তনাদ কবিতা হয়ে ফুটে।
ভালবাসাহীন জীবন হাবিয়া সমান
তবুও বিশ্বাসের স্তম্ভে দাঁিড়য়ে
ভেতরে একটি সুর শুনতে পাই।
কোথায় গেলে, শান্তি মেলে...

অবিনাশি কষ্ট / জিপসী রুদ্র

                                                                         
                                                                         

আমারও স্বপ্ন ছিল দু’পশলা বৃষ্টির নিচে তোর হাত ধরে হাটতে রক্তিম সূর্য্য ডুবে যাওয়া নদীতে পা ভিজিয়ে অসীম শূণ্যতায় চেয়ে থাকতে, মানুষের সব স্বপ্ন কি পূরণ হয়? কখনও হয় কখনও হয়না।
    আমার প্রতিটি সকাল এখন কুচকুচে কালো রাত্রি প্রসব করে। তোর স্মৃতিগুলো আমায় ভীষন যন্ত্রনা দেয়। এত যন্ত্রনা আমি আর সইতে পারিনা। কাউকে বুঝাতেও পারিনা। যে কষ্ট কাউকে বুঝানো যায়না সে কষ্ট ভয়ংকর। এই ভয়ংকর যন্ত্রনা নিয়ে তোর স্মৃতি হাতড়িয়ে আমি ভালবাসা খুঁজি।
    মাঝরাতে ইদানিং আমার ভীষন যন্ত্রনায় ঘুম ভেঙ্গে যায়। ভিতরে কি যেন হয়। আমি অস্থির হয়ে পড়ি। সবকিছুকে অপরিচিত মনে হয়। তোর অস্তিত্ব অনুভব করতে চেষ্টা করি।
    আচ্ছা, আমি যে তোকে হারিয়ে এত কষ্টে আছি তুই কি বুঝতে পারিস? পেয়ে হারানোর ব্যথা সেই বুঝে যে হারিয়েছে। তুই কিভাবে বুঝবি? তুইতো আমাকে হারাসনি। আমি তোকে হারিয়েছি। আমি দিব্যি তোর আছি।
    মানুষ চাইলে সবকিছু ভূলতে পারে। শুধু পারেনা প্রিয়জন হারানোর স্মৃতি। আমিও পারিনি। তোর স্মৃতিগুলো আমাকে কাঁদায়। আবার কখনো আমাকে ভাবায়। আমি বারবার সেসব দিনগুলোতে ফিরে যাই। আর প্রত্যেক বারই চোখের পাতা ভিজে যায়।
    মাঝে মাঝে আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে কতটুকু ভালবাসলে  একজন মানুষকে নিজের করে পাওয়া যায়? ভালবাসার পরিমাণটা যদি আমার জানা থাকত মনে হয় তার চেয়েও বেশী ভালবাসতাম তোকে।
    কি কারনে চলে গেলি তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আমার ভালবাসায় কি অপূর্ণতা ছিল? কি কারনে আমায় এত কষ্ট দিচ্ছিস?
    তোর পোর্ট্রেট’র দিকে তাকালে আমি এলোমেলো হয়ে যাই। আমার দীর্ঘশ্বাসের উঞ্চতা বাড়তে থাকে। তোকে অনেক আদর করতে ইচ্ছা করে। ভেতরে আমি অসীম ব্যথা নিয়ে কাতরাতে থাকি। এই কষ্টের শেষ কোথায়?
    আমি জানি, এই কষ্টের কোন শেষ নাই। তোর দেওয়া কষ্টগুলো সারাজীবন আমাকে লালন করতে হবে আর তা তুই কখনও জানবি না...


প্রাচীন
২৭, কে.বি প্লাজা, চকবাজার, চট্টগ্রাম।
মোবাইল-০১৭৩১৭৪৫৪১১, ০১১৯৫০৮২৪৮৬

                                                                          

ভাঙ্গাস্বপ্নঘর / জিপসী রুদ্র

উৎসর্গঃ তাসনোভা
উর্বশী একটি ফসলী মাঠ
পড়েছিল আবাদের অপোয়
বীজ বপন করতে চেয়েছিলাম
পৃথিবীর সমান স্বপ্নটি নিয়ে...
বীজ বপনের ঠিক আগ মুহুতের্, পূর্বাভাস ছাড়া ঝড়টির আঘাতে স্বপ্নটি ত হল।
ঝড়টির উৎপত্তি স্থল খুজতে গিয়ে বুঝতে পারলাম, আমার জ্ঞান সীমিত
আবাদি জমিটি চাষ হবে অন্য কৃষকের হাতে, ভাবতে গেলে দীর্ঘশ্বাসের উঞ্চতা বাড়ে...

অবিনাশি কষ্ট / জিপসী রুদ্র

কষ্টের নাঁয়ে ভাসিয়ে
নদীর ওপারে শুনাবো তোকে স্বপ্নভাঙ্গা গান
ঘুনে ধরা বাঁশিতে বাজবে হৃদয় ভাঙ্গা সুর
হৃদয় মুচড়ানো যন্ত্রনায়ৃ...
ভেসে উঠে ভালবাসার হারানো স্মৃতি আর
আগুনে জ্বলে জীবন পাখি।
অবিনাশি কষ্টের মাঝে
পথ হারিয়ে চলি অচেনা পথে...

অপরিমিত প্রেম / জিপসী রুদ্র

তোমার ঠোঁটের উপর প্রথম ঠোঁট রাখার পর বুঝতে পারলাম
হিমালয় পর্বত পৃথিবীর সব চাইতে বড় ভূমিকম্পটির আঘাতে ধসে পড়ছে।
টুইন-টাওয়ার ভাঙ্গার দৃশ্যটি দেখলাম তোমার বাহুডোরে
পৃথিবী এভাবেই বিধ্বস্ত হবে প্রতিদিনই তোমার আর আমার অপরিমিত ভালবাসায়...
গর্জে উঠুক আকাশ পাতাল, এই সীমানা থেকে ওই সীমানা অবদি
কেঁপে উঠুক সমস্ত জলরাশি, বৃষ্টি-বাদলের পরিবর্তে পড়–ক রক্তবৃষ্টি
অসীম ভালবাসায় ধরনী হোক উম্মাদ বদ্ধ উম্মাদ...