বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১২

ছাত্রলীগ তোর আল্লাহর দোহাই লাগে.../ জিপসি রুদ্র


১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি শেখ সাহেব যে আশা এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছাত্রলীগ গঠন করেছিলেন তার থেকে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ এখন যোজন যোজন মাইল দূরে সরে এসেছে।ছাত্রলীগের একটা গৌরব উজ্জ্বল সময় ছিল। বাঙলাদেশের অতীত ইতিহাস খতিয়েদেখলেযেআন্দোলন সংগ্রামের হদিস পাওয়া যায় তার সাথে ছাত্রলীগের একটা প্রত্যক্ষ অবদানছিল। তার মধ্যে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ৬৯’র ১১ দফা আন্দোলন সর্বপরি ৭১’এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রলীগের অংশগ্রহন বীরোচিত।
এই গৌরব উজ্জ্বল অবদানের জন্য দেশের সাধারন মানুষের মনে ছাত্রলীগ এর জন্য একটা জায়াগা তৈ্রি হয়। মানুষ ছাত্রলীগকে ভালবাসতে শুরু করে। দেশের সচেতন ছাত্রসমাজ তাদের আপন সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগকে গ্রহন করে। বাঙলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে মানসম্মত প্রচুর নেতার যোগান এসেছে ছাত্রলীগ থেকে। এককথায় বাঙলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে মেধা ও বুদ্ধিভিত্তিক রাজনীতির একমাত্র আদর্শ ছিল বাঙলাদেশ  ছাত্রলীগ।
স্বাধীনতা পূর্ব ছাত্রলীগ বাঙলাদেশে আশীর্বাদ কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর ছাত্রলীগ বাঙলাদেশে অবিশাপ। স্বাধীনতা উত্তর দক্ষিন এশিয়ার সর্ব বৃহৎ এই ছাত্র সংগঠনটি নানা রকম কৃতকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এমন কোন ঘৃণ্য কাজ নেই যা ছাত্রলীগ করেনি। যত্রতত্র চাঁদাবাজি, গুম, ধর্ষণ, মানুষ খুন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সবই এই ছাত্র সংগঠনটি নির্দিধায় চালিয়ে যাচ্ছে।শিক্ষা প্রতিষ্টানে গণতান্ত্রিক রাজনীতির যে ধারাবাহিকতা ছিল তা আজ বিলীন হয়েছে একমাত্র ছাত্রলীগের কারনে। কারনে অকারনে শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ভীতি প্রদর্শন ছাত্রলীগকে এখন জন বিচ্ছিন্ন ছাত্র সংগঠনে পরিনত করেছে। ছাত্রলীগ বললে আগে মানুষ যেখানে ভালবাসার দৃষ্টিতে মুল্যায়ন করতো এখন সেখানে ঘৃণার দৃষ্টিতে মুল্যায়ন করে। সাধারণ মানুষের মনে ছাত্রলীগ এখন একটি ত্রাস, হুমকি ও ক্ষতিকর সংগঠন। নৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া একটি ছাত্র সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ।
একটা সময় ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তৃতা শুনে আমার মনে হত এদের কবিতা লেখার দরকার কি এদের এক একেটা বক্তৃতাই তো এক একেটা কবিতা। কিন্তু এখন মনে হয় কুকুরের ঘেউ ঘেউ। যেখানে আশার কোন বানী নেই আছে শুধু চামচামি আর গোলামি ।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড দেখে আমি শিয়রে উঠেছি । থমকে গিয়েছি। আশাহত হয়েছি। নিজের মধ্যে নিজে বিলাপ করে বলেছি ছাত্রলীগ তোর আল্লাহর দোহাই লাগে এইবার একটু থাম। তোদের জন্মের সাথে যে মানুষটির নাম জড়িয়ে আছে ওই মানুষটি এই স্বাধীন বাঙলার স্থপতি। ওই মানুষটির নাম শুনলে মানুষ এখনও আবেগ-আপ্লুত হয়। বেঁচে থাকার সাহস পাই। কিন্তু তোদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না থামালে তোদের সাথে সাথে এই মহান পিতাকেও মানুষ ঘৃণা করতে শুরু করবে। তোদের আল্লাহর দোহাই লাগে স্বাধীন বাঙলায় তোরা এই মহান পিতাকে অবমুল্যায়নের সুযোগ দিস না। তোরা তোদের আগের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস মনে করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিহার কর। মনে রাখিস দেশীয় রাজনীতিতে এখনও ছাত্রলীগের প্রয়োজন আছে। সেটি যেন সুস্থ সুন্দর ও মননশীল রাজনীতি হয়।


নিসর্গ
২৩,কে,বি প্লাজা
চকবাজার, চট্টগ্রাম
০১৭৩১৭৪৫৪১১ ০১৬৭৩০১১১৮০

বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১২


কেউ যদি প্রশ্ন করে কবিতা কি বা কবিতার সংজ্ঞা কি? এর একটাই উত্তর হতে পারে, কবিতার স্থায়ী কোন ত্বত্তীয় সংজ্ঞা নেই তবে ব্যাখ্যা  আছে। কবি সাজিদুল হকের মতে “ কোনটি কবিতা আর কোনটি কবিতা নয় এই বিচার করার স্পর্ধা কারো থাকা উচিত নয়”।
তাহলে প্রশ্ন আসে কবিতার ব্যাখ্যাটা কি? এই প্রশ্নের উত্তরে বাঙলার বিশুদ্ধ কবি জীবনান্দের কথা বলা যায় “ কোন কিছুর সর্ব উৎকৃষ্ট উপমাই হল কবিতা”। এখান থেকে ধারনা করা যাতে পারে লেখার বিষয়বস্তুর এমন উপমা হবে যার কোন বিকল্প শিল্পগুন সমৃদ্ধ আর কোন উপমা থাকবেনা।
এই প্রসজ্ঞে বাঙলার আরেক কবি মাইকেলের কথা বলা যেতে পারে “ শব্দের সর্ব উৎকৃষ্ট বিন্যাসেই হল কবিতা” । এখান থেকে ধারনা করা যেতে পারে লেখার মধ্যে এমন কোন শব্দ থাকতে পারবেনা যেটার উৎকৃষ্ট বিকল্প শব্দ আছে।
মানুষের চারিত্রিক সনদ দেয় কমিশনার বা চেয়ারম্যান আর কবিতার সনদ দিবে কবি নিজে । কবি নিজেই তার নৈতিক সমর্থনে বলে দিবে এটা কবিতা । 
দুঃখিত !!!! ভদ্র মানুষ ও সমাজ তোমাদের প্রতি আমি বিনয় হতে পারলামনা। 
তোমাদের প্রতি ক্ষোভ আমার এত বেশি যে তোমাদের পুটকি মারতে না পেরে আমি আমার গলির মুখের রাস্তাটাকে চুদে দিয়ে আসি ...।
দুঃখিত !!!! ভদ্র মানুষ ও সমাজ তোমাদের প্রতি আমি বিনয় হতে পারলামনা। 
তোমাদের প্রতি ক্ষোভ আমার এত বেশি যে তোমাদের পুটকি মারতে না পেরে আমি আমার গলির মুখের রাস্তাটাকে চুদে দিয়ে আসি ...।
স্তুল,কলোনিয়ান,অশিক্ষিত,বো্দায় ও অমননশীল চিন্তার মানুষের শিল্পকলার আসেপাশে ঘেঁষা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। শিল্পকলা সৃষ্টিশীল জায়গা । এখানে ছেলেপেলেরা এসে আড্ডা দিবে এটাই স্বাভাবিক। আর একটা সৃষ্টিশীল ও মননশীল আড্ডায় নিষিদ্ধ বলে কিছু থাকতে পারেনা। একজন মানুষ তার নৈতিক সমর্থনে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। এখানে ছেলে মেয়ে ভাগ করা নৈতিকতা বিসর্জিত কাজ। কে বা কারা করে দিয়েছে এই আইন যে একজন মেয়ে প্রকাশ্যে সিগারেট খেতে পারবেনা ? একজন শিল্পীর কোন জাত নেই কোন লিঙ্গ নেই। তার পরিচয় সে শিল্পী। শিল্পকলায় এসে যারা মনে করে ও মেয়ে ও সিগারেট খেতে পারবেনা তাদেরকে চুদার চাইতে হস্তমৈথনে সুখ অনেক বেশি বলে আমি মনে করি।

আমি মাল নাকি বাল?


আমার দেশের প্রায় প্রত্যেক জেলা শহরে একটি করে শিল্পকলা আছে। যাতে মানুষ একটা জায়গায় এসে শিল্পসাহিত্যের বিকাশ সাধন করতে পারে। যাতে দেশের সংস্কৃতি বিকশিত হয়
শিল্পকলায় যারা আসেন  তাদেরকে আমারা শিল্পমনা মানুষ মনে করি। মনে করি এরাই আমার দেশের শিল্প সাহিত্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করছে। এদের প্রতি আমাদের মনের ভেতর থেকে একটা শ্রদ্ধা আপনাতেই চলে আসে।
চট্টগ্রাম শিল্পকলা। অসংখ্য তরুণ তরুণীতে ঠাসা। কোন কোন সময় বসার জায়গা পাওয়া যায়না। দাড়িয়ে কাজ শেষ করতে হয়। এতগুলো শৈল্পিক মানুষের মধ্যে কয়জন লোক সত্যিকারের শিল্প সাহিত্য চর্চা করছেন?
আমি গত দুবছর শিল্পকলায় নিয়মিত যাচ্ছি। বুঝার চেষ্টা করেছি এখানে আসা শৈল্পিক মানুষদের শিল্প চর্চার। আমি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার উপর ভর দিয়ে বলে দিতে পারি বেশির ভাগ ছেলে আসে এখানে  মেয়েদের পাচা দেখার জন্য  আর বেশির ভাগ মেয়ে আসে নিজেদের “সংস্কৃতি কর্মী” পরিচয় বিকিয়ে একটা সুস্ত  ধোন ও পয়সাওয়ালা স্বামী পাওয়ার আসায়। এদের মাথার মধ্যে কোন মাল নেই,কোন শিল্প নেই তারা এখানে আসেন শুধুমাত্র তাদের দুই রানের মাঝখানে কলা চর্চার জন্য। শিল্পচর্চার জন্য নয়। অতচ নিজেদের দাবি করেন বিশুদ্ধ সংস্কৃতি কর্মী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস শিল্পের উপর যতেষ্ট পাঠ তাদের নেই। চিন্তা ভাবনা এখনো তাদের পরিচ্ছন্ন নয়। মেয়েদের সিগারেট খেতে দেখলে অধিকাংশ ছেলের ধোন চুলকায়। তাদের মনে হয় এই মেয়েটা প্রমোদিনি
এতসব ক্যারিক্যেচালের মধ্যে শিল্পকলায় নিরবে কাজ করে যাচ্ছে জাহাঙ্গীর লুসাই ও বাপ্পি আলমগীর । অতচ তাদের এই কাজ অনেকের সহ্য হচ্ছে না। যারা সহ্য করতে পারছে না তারা কোন কাজই করতে পারছেনা । কারো কাজ নিয়ে সমালোচনা করার আগে সেই কাজের উপর প্রচুর পাঠ থাকা বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় সমালোচনা করতে এসে নিজের পাচার কাপড় খুলে দিতে হবে। খুব শিগ্রই অনেকের তাই হবে বলে আমার ধারনা।
একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীর কাজের সমালোচনা করতে পারে। শিল্পীর নয়। যারা জাহাঙ্গীর লুসাই ও বাপ্পি’র সমালোচনা করছেন তারা কি একবারও নিজেদের পাচায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে শুঁকে দেখেছেন আপনাদের ওখানেও বাজে গন্ধ আছে?
তাই বলছি একজনের পুটকি আরেকজন না মেরে নিজেদের কাজ করেন । আপনাদের কাজ বলে দিবে আপনারা কত বড় মাল। কাজ ছাড়া আমি মাল আমি মাল বলে চিল্লালে আপনি বাল ছাড়া কিছুই হবেননা। আপনি একটা মাল নাকি বাল সেটা বলে দিবে আপনার কাজ।
ঔঁম নম নম
বিশুদ্ধ মানুষ নম
আসসালামু আলাইকুমু
কাব্য সরনং গচ্ছামো...