মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

আমি বেশ্যার মুখে শুনছি ধর্মের বাণী ।

ওস্তাদ আমি তখন ইন্টারমিডিয়েটের স্টুডেন্ট। মফস্বল থিকা শহরে আসছি উচ্চশিক্ষার জন্য। কিন্তু আমার মন পইড়া থাকতো কেবল নারীর শরীরে। সবসময় ক্যাম্পাসের মেয়েদের শারীরিককাব্য পড়তাম। আর ফিল নিয়া শারীরিক ব্যাকরণ কল্পনা কইরা খ্যাঁচতাম! লাগানোর মাইয়া আছিলোনা। মাথায় পেরেক মাইরা গাঁথা ছিলো শুধু একটাই, লাগাইতে হবে। চাইলেইতো আর লাগানো যায় না! মাইয়াও পাইতে হবে! কিন্তু লাগানোর মতন মাইয়া আমার কপালে নাই! হতাশা বাড়তো অশান্তি লাগতো চোখে মুখে বিরক্তি থাকতো চরমে!

একদিন এক বন্ধু হোটেলের খবর দিলো। আল-করিম, সেকান্দর, সিলটনসহ সিনেমা প্যালেসের আশেপাশে আরো দুইএকটা হোটেলে টাকা দিয়া মাইয়া লাগানো যায়! কোয়ালিটিরও নাকি ভেরিয়েশন আছে। কেমন ভেরিয়েশন? - জানতে চাইলে কইলো, স্কুল কোয়ালিটি, কলেজ কোয়ালিটি এবং ভার্সিটি কোয়ালিটিসহ আরো আছে আদিবাসী।
কিন্তু তখনও ওস্তাদ আমার সাহসে কুলাইতেছিলোনা হোটেলে গিয়া মাইয়া লাগাইতে! আর জানিওনা কতো টাকা লাগে লাগাইতে! মাথায় শুধু ওস্তাদ তখন আমার একটাই বিষয়, হোটেলে কেমনে যাবো কার লগে যাবো!
ফিকির করলে যে সবই মিলে- কথাটা সত্য বইলা মনে হইলো যখন বন্ধু বাবু রবিন নামের একজনের লগে পরিচয় করায়ে দিলো। তারলগে একদিন নিউ মার্কেট মোড়ে আড্ডা-ফাড্ডা দিলাম। আড্ডার মূল বিষয় ছিলো লাগানো, টাকা এবং সেইফটি।
সে কইলো, এক শট দুইশো এক নাইট একহাজার টাকা।
স্টুডেন্ট মানুষ! একহাজার টাকা মাইয়া লাগানোর জন্য ম্যানেজ করা অসম্ভব। দুইশো টাকা হয়তো ম্যানেজ করা যাবে।
টাকা জামানো শুরু করলাম। একসাপ্তাহের মধ্যে তিনশো টাকা ম্যানেজ করলাম ওস্তাদ। বাসে যাওয়া আসা বিশ। মাইয়ারে বকশিস দিবো বিশ। বাদবাকি যে টাকা থাকবে তা দিয়া আমি আর রবিন নাস্তা খাবো।
ঠিকঠাক প্ল্যান মাফিক সেকান্দরে গেলাম। এক অসাধারণ উত্তেজনায় শরীর কাঁপা শুরু করলো! চিপা একটা গলি দিয়া উপরে উঠলাম। দেখলাম ওস্তাদ, একটা রুমের মধ্যে ২০-২৫জন মেয়ে সেজেগুজে বসে আছে। কেউ ব্রা পইড়া দুধ আর কেউ হাফ প্যান্ট পইড়া রান দেখাই রইছে। আমার মতন কাস্টমাররা পছন্দ কইরা আলাদা আলাদা রুমে নিয়ে যাচ্ছে লাগানোর জন্য ।
আমিও একটা মাইয়া পছন্দ করলাম। রবিনরে অন্যএক মাইয়া কইলো, ছোটপোলা এই বুড়ি বেটিরে চুদতে পাইরবো! আরেক মাইয়া কইয়া উঠলো, কিয়ের বেটি বেটা এইডা ছোটলাগের! ধোনের দিকে দেখ! চোদার জন্য ধোন কিরম খাড়াইরইছে!
মাইয়াদের টিপ্পনী খাই মাইয়ারে লইগেলাম আলাদা রুমে। রবিন বাইরে অপেক্ষা করছে। রুমে ঢুইকা মাইয়া দরজা আটকাইয়া কয় আগে ট্যাহা দাও। তারপর কাপড় খুলুম। আমি কইলাম, একটু কথা কই আগে তারপর টাকা দিবো। মাইয়া কয়, এইটা কথা কওয়ার জায়গা না এইটা স্রেফ চোদনের জায়গা! ট্যাহা দিবা কাপড় খুলুম চুইদা মাল ফেলাইয়া চইলা যাবা! এইখানে কিয়ের বালের পিরিতির কথা!
আমি ওস্তাদ ভড়কাই গেলাম মাইয়ার মুখে এই কথা শুনে! তাড়াতাড়ি টাকা বাইর কইরা মাইয়ারে দিলাম। মাইয়া একটানে আমার প্যান্ট খুইলা ফেললো। তারপর নিজের কাপড় খুইলা বিছানায় শুইয়া পড়লো পা দুইটা উপরে তুইল্লা। কইলো, ধোন খাড়াইছেতো এইবার হালকা ছেপ লাগাই ট্যাইলা দাও! মাল ফেলাইয়া বিদায় হও আরো বহুত কাস্টমার ওয়েট করছে!
আমি কইলাম, অস্তির হইতাছো ক্যান। একটু সময় দাও। কথাবার্তা কই। বকশিস দিবোতো! মাইয়া কইলো, এইডা আগে কইবানা!- বইলা মাইয়া শোয়া থিকা উইঠা বসলো।
আমি জিগাইলাম, কী নাম তোমার?
মাইয়া কয়, কলি।
ধোন মুখে নিয়া চুইষা দিবা?
-ছিঃ আল্লাহ গুনা দিবো। বেটা মাইনষের ধোন মাইয়াদের মুতনের জায়গায় ঢুকে। এইটা মুখে নিলে আল্লাহ গুনা দিবে।
আমি বেশ্যার মুখে আল্লাহর কথা শুইনা মোটামুটি বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা খাইলাম! তারপর নিজেরে ঠিক কইরা পালটা জিগাইলাম, পাছা দিয়া ঢুকাইতে দিবা?
-আরে না। এইটাতো আরো বড়গুনা! আমি যদি বকশিস নিয়া তোমারে পাছা দিয়া চুদতে দিই তাইলে রোজ হাশরের ময়দানে আমি ছেলে হয়ে যাবো! ছেলেরা ছেলেরাই শুধু পাছা দিয়া চোদাচুদি করে! মাইয়া মাইনসের পাছা দিয়া চোদা বহুত বড় গুনা! আরে ভাই আউল ফাউল কথা রাখেন! চুদলে চুদেন নইলে কিন্তু গেলাম!
ওস্তাদ আপনারে আইজ এই কথা বললাম কারণ আইজ ফেইসবুকে দেখলাম এক মাইয়ামডেল টিপ নিয়া ফতোয়া দিছে! সেই ফতোয়া শুইনা আইজ থিকা ম্যালা বছর আগের সেই বেশ্যার কথা মনে পইড়া গেলো আমার! যে আমারে ধর্মের দোহাই দিয়া ধোন চুষে এবং পাছা দিয়া চুদতে দে নাই!
ক্ষ্যাপারে কইলাম, ক্ষ্যাপাচোদা একটা কথা সারাজীবন মনে রাখবি, যারা ধর্মরে ব্যবহার কইরা নিজেদের অপরাধ এবং আকাম কুকাম ঢাকতে চায় তারা ধার্মিক নয়; তারা ভন্ড নয়তো বেশ্যা।
ক্ষ্যাপা কইলো, ওস্তাদ আসলেতো ঠিকই! তারা ভন্ড নয়তো বেশ্যা!