বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

ম্যাডাম খালেদা সমীপে... / জিপসি রুদ্র

ম্যাডাম এতো ঘারত্যারামি করতেছেন ক্যান? আপানার কি মনে হয় ঘারত্যারামি কইরা আপনি শেখের বেটির নির্বাচন ঠেকাইতে পারবেন? সেই শক্তি কি আসলেই আপনার দলের আছে? এতগুলো হরতাল আর এতগুলো অবরোধ দিলেন কতজন নেতা সেই হরতাল অবরোধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছে? যারা নেমেছে তারা কি আপনার দলের কর্মী নাকি ভাড়াটিয়া? আর যে সমস্থ মানুষগুলো পুইড়া মরলো তারা আসলে সমাজের কোন শ্রেণির মানুষ সেই হিসাব কি আপনি নিয়াছেন?
ম্যাডাম আপনি যদি শেখের বেটির নির্বাচনে না যান তাহলে মনে করবেন আপনি নিজের হাঁতে নিজেই আপনার জামাইর দল বিএনপি'কে কবর দিবেন। আপনার দলের নেতা'রা দল থেকে নির্বাচন না করলেও ঠিকই ডিগবাজি দিয়া এককভাবে শেখের বেটির নির্বাচনে অংশ নিবেই। এ কথাতো আপনার না বুঝার কথা না! আপনার দলে বিশ্বাসযোগ্য নেতা আসলেই আছে কি ? থাকলে তা কতজন? এই হিসাবটাও কি আপনার নেই!
ম্যাডাম বিএনপি'কে যদি বাঁচাতে চান বাঙলাদেশের রাজনীতিতে তাহলে আউল ফাউল টক না কইরা শেখের বেটির নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে অংশ নিলে আপনাদের হাঁতে একটা বিরাট সুযোগ সেটা হচ্ছে এদেশের জনগন এক সরকার দুইবার খায় না। অতীত ইতিহাস তাই বলে। আর জামাত ইসলাম এর নির্বাচন এ তো হাইকোর্টের কাঁচা বাঁশ ঝুইলা আছে। জামাত নির্বাচন করতে না পারলে এই রাজাকারদের ভোট তো আপনিই পাইবেন। রাজাকার’রা শেখের বেটিরে ব্যাপক ডরাই। তাই তারা ভুলেও ওই পথে হাঁটবেনা।
ম্যাডাম বাঙলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখনো ব্যাপক ধর্মভীরু । নির্বাচনে অংশ নিয়া আপনি তাদের ভেতরে অতীতে যেভাবে শেখের বেটি হিন্দু বলিয়া চালাইয়া দিয়াছিলেন এইবারও সেই একই কাজ করিতে পারেন। এইবার তাহারা একটু বেশি কইরা খাইবো এই অপপ্রচার। কারণ হইলো সাইদি। সাইদি গ্রাম অঞ্চলের মানুষের কাছে আল্লাহর সাক্ষাত অলি। আর এই রাজাকার অলি’রে শেখের বেটি চৌদ্দ শিখের ঘরে আটকাইয়া রাখিয়াছে মাইরা ফেলানোর লাইগা। এই বিষয়টারে ভালোমত নুন মরিচ মাখাইয়া গ্রাম অঞ্চলের মানুষরে খাওয়াইলেই ম্যাডাম  বিজয় আপনার ঠ্যাকাই কে? অতীতেও’তো এই একই কাজ কইরা ক্ষমতায় আসার পথ অনেকটাই সুগম হয়েছিল । ম্যাডাম নির্বাচনে অংশ নিয়া অতীত অভিজ্ঞতারে কাজে লাগান। এই কাজ আপনার দলের নেতা কর্মীর করার দরকার কি আপনি নির্বাচনে অংশ নিলেই জামাত শিবির এর দ্বীনী ভাইয়েরা এই কাজ সাইরা ফেলবো।
ম্যাডাম হুদাই আপনি ভয় পাইতাছেন। শেখের বেটি নির্বাচনে কারচুপি করবো । কারচুপি কইরা শেখের বেটি ক্ষমতায় থাইকা যাইবো। ম্যাডাম এখন নির্বাচন একবার হইয়া গেলে সেই নির্বাচনে এইদিক সেইদিক করার সুযোগ খুব একটা থাকেনা। অতীত নির্বাচন গুলো দেখেন। তাইলেইতো প্রমান পাইয়া যাইবেন।  এইখানে আপনার বিশ্বাস আনার জন্য আমি একটা ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে পারি চট্টগ্রামে মেয়র নির্বাচনে মুহিউদ্দিনকে বিজয় করতে তার সমর্থকেরা সর্বশেষ চেষ্টা করেও মুহিউদ্দিন’কে  জয়ী করতে পারেনি। এখন আর সেই দিন নাই জয়ী হয়েছে একজন ঘোষণা আসবে অন্যজনের। তাই বলছি জনগনের উপর পূর্ণ আস্থা আর অতীত ইতিহাসের কথা ভেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এতে আপনার দলের লাভ বৈ ক্ষতি হবে না।
ম্যাডাম শেখের বেটির নির্বাচন প্রতিহত করার শক্তি আপনার দলের যেহেতু নাই তাই অন্য কিছু না ভাবিয়া নির্বাচন এর দিকে আপানার দলকে মনোনিবেশ করান। শেখের বেটির সাথে হোক বা মহাসচিব পর্যায়ে হোক একটা আলোচনা করিয়া আপনার দলের নেতা কর্মীদেরকে জেল থেকে বের করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। আপনারা শর্ত ছাড়া নির্বাচনে যাবেন বললে শেখের বেটি সবাইরে ছাইড়া দিবো বলে আমার ধারণা।
ম্যাডাম একটা কথা মাথায় রাখবেন সমঝতা আপনার দরকার শেখের বেটির না। তাই বলছি আপনি যদি সমঝতা না কইরা ঘারত্যারামি করেন তাহলে মনে করবেন বাঙলাদেশের রাজনীতিতে আপনার জামাইয়ের দল বিএনপি এপিটাফ ।
৩০/১১/২০১৩
খসড়া
২৭ কে.বি প্লাজা

চকবাজার, চট্টগ্রাম   

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৩

স্বীকারোক্তি / জিপসি রুদ্র

বিবর্ণ,
কেমন আছ জিজ্ঞেস করবনা। আমি জানি তুমি আমাকে ছাড়া অনেক কষ্টে আছ। কতটুকু কষ্টে আছ তার পরিমাপ আমার পে সম্ভব নয়। বিবর্ণ আমার কিছু করার ছিলনা। আমার প্রতি তোমার ভালবাসা এত গভীর হয়ে উঠেছিল যে আমারও তোমার কাছ থেকে চলে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু তোমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাকে চলে আসতে হয়েছে।
বিবর্ণ তুমি বারবার জানতে চেয়েছ তোমার অপরাধ কি? আসলে তোমার কোন অপরাধ নেই। ভূল যা করেছি আমিই করেছি। আমিও জানতামনা যে আমার একাকিত্ব ঘোচাতে গিয়ে আমাকে এত বড় ভূল করতে হবে।
    এখন আমি যে কথাগুলো লিখব তা পড়ে তুমি স্থির থাকতে পারবেনা। তারপরও কথাগুলো তোমার জানা দরকার।
    বিবর্ণ আমি একজন বিবাহিত মহিলা। চার বছর তোমার সাথে সম্পর্কের মধ্যে আমি তা বুঝতে দেয়নি। অনেক সময় তুমি প্রশ্ন করলে আমি কৌশলে এড়িযে গেছি। বিয়ের একবছর আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্ক বেশ ভালই কেটেছিল। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি তার আগে একবার বিয়ে হয়েছিল এবং তারা দুজনে ভালবেসেই বিয়ে করেছিল। আমার স্বামীর বাবা মা আমার স্বামীকে চাপ দিয়ে তালাকের ব্যবস্থা করে। সম্পূর্ণ বিষয়টি গোপন রেখে দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়। একবছর পর বিষয়টি যখন আমি জেনে যাই শুরু হয় অশান্তি। আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি। এক পর্যায়ে তালাকের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমার বাবা মা ও ভাই বোনদের কথা ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। আমার স্বামী আমাকে কিছু না জানিয়ে চার পাঁচ দিনের জন্য ঢাকার বাইবে চলে যায়। সে ঢাকায় থাকলেও খুব রাত করে ঘরে ফিরে। তার এমন কোন কাজ নাই যে, সেই কাজ শেষ করতে এত সময় লাগে। আমি সারা  ঘরে একা। খুব অসহায় লাগত নিজেকে। আমার স্বামী আমার গায়ে হাত না তুললেও মানসিক যন্ত্রনা দিত প্রচুর। এত যন্ত্রনা সইতে না পেরে আমি আতœহত্যার সিদ্ধান্ত নিই। আবারও আমার ভাই ও বোনদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত থেকে ফেরত আসি। প্রচন্ড রকম মানসিক যন্ত্রনা এবং একাকিত্বের মাঝে তোমার সাথে আমার যোগাযোগ। তোমার বয়স আমার থেকে বছর চারেক কম হলেও তোমার ম্যান্টালিটি অনেক উচুঁতে। আমি আবার বাচাঁর সাহস পেলাম। আমি আমার সব কিছু গোপন করে তোমার সাথে সম্পর্ক তৈরী করলাম। তুমি আমাকে মানসিক সাপোর্ট দিতে লাগলে আর আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে লাগলাম। এক পর্যায়ে আমি তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে গেলাম। তোমাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেলাম। আসতে বললাম তোমাকে ঢাকায়। তুমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলে। সকাল আটটা থেকে রাত বারটা পর্যন্ত আমরা একসাথে কাটালাম। তুমি যখন আমার উপর হাত রাখলে আমি আমার আগের সব কষ্ট ভুলে গেলাম। বিবর্ণ, আমি আমার স্বামীর সাথে কখনও রিক্সায় ঘুরিনি। কখনো একসাথে বসে সিনেমা হলে সিনেমা দেখিনি। তোমার সঙ্গ, তোমার স্পর্স আমার প্রানে সাহস জোগায়।
    দিন যায় আমাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। তুমি ভালবাসার কথা জানালে আমি সাদরে সম্মতি জানাই। তুমি যতবারই ঢাকায় এসেছ ততবারই আমাকে আদর করতে চেয়েছ। কিন্তু কেন জানি আমার তোমাকে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করতনা। খুব কম সময় তুমি আমাকে আদর করতে পেরেছ। এমনও হয়েছে তুমি বিনা আদরে ঢাকা থেকে ফিরে গেছ। বিবর্ণ, বিশ্বাস কর তোমাকে ঠকাতে আমার ইচ্ছে করতনা। আমারও খুব কষ্ট হত বিনা আদরে তোমাকে ফেরত পাঠাতে। আমি জানি তুমি আদর করলে তোমার শরীরের উঞ্চতা বাড়বে। তুমি অনেক কষ্ট পাবে।
    এক পর্যায়ে তোমার আদর করার ইচ্ছে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। বিবর্ণ, আমি বিশ্বাস করি কাউকে গভীরভাবে ভালবাসলে তাকে আদর করতে ইচ্ছে করে। কাছে আসতে ইচ্ছে করে। তুমি আমাকে ভালবাস বলেই আমার কাছে আসতে ইচ্ছে করছে। আমিও তোমার ইচ্ছেকে শ্রদ্ধা করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসি। আমার এই চট্টগ্রামে আসাটাই তোমার জীবনের অভিশাপ।
    তোমার রুমে ঢোকার পর আমি অভাক হয়ে যাই আমার পোট্রেট। বিবর্ণ তুমি আমাকে এত ভালবাস। বিবর্ণ সত্যি সেদিন আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। আমি অনেক কষ্টে সংযত করেছি নিজেকে। একটা ছেলে আমাকে ভালবেসে পোট্রেট করেছে এর চেয়ে বড় কোন ভালবাসা আমি আমার জীবনে পাবনা।
    সারাদিন আমরা চট্টগ্রাম ঘুরে বেড়ালাম। ফয়েজ লেক, পতেঙ্গা, ডিসি হিল, সি আর বি তোমার প্রিয় জায়গা গুলোতে নিয়ে গেলে। তোমার সে কি আনন্দ।
    রাতে যখন রুমে আসলাম তখন আমার ভিতরে অস্থিরতা শুরু হল। আমার মাথা ঘুরতে লাগল। এখনি তুমি আমাকে আদর করতে চাইবে। এখনি তোমার প্রিয় আমার পায়ে চুমু খেতে চাইবে। এখনি তুমি তোমার সমস্ত ভালবাসা আমাকে দিতে চাইবে। আমি কি করব ভেবে পাচ্ছিলামনা। আমি ভেতরে ভেতরে ঘামতে লাগলাম।
    তুমি যখন ফ্রেশ হয়ে আমার হাত  ধরে চুমু খেলে আমার সমস্ত শরীরে মনে হল বিদ্যুৎ খেলে গেছে। তুমি আমার ঠোটে ঠোট রাখার পর বুঝতে পারলাম তোমার বাহুডোর থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে। তুমি আমাকে মাতালের মত আদর করছ। এক পর্যায়ে যখন তুমি আমার বুকে হাত দিলে আমি তোমাকে প্রচন্ড ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম। তুমি বেশ অবাক হয়ে আমার দিকে থাকিয়ে রইলে এবং আমি খুব স্ট্রংলি বললাম শুধু ঠোঁটে আদর ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেনা। যদি কিছু কর তবে সেটা ধর্ষন ছাড়া কিছু হবেনা।    
    মুুহুর্তের মধ্যে তোমার চেহারা অন্য রকম হয়ে গেল। তোমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। কারন আমি বিশ্বাস করি কেউ গভীর করে সত্যিকারের ভালবাসলে তার প্রভাব চুড়ান্ত ভাবে দেহে এসে পড়ে। তোমার বেলায়ও তা হচ্ছিল। কিন্তু সেটি যদি তখন হত সেটি হত তোমার জন্য চুড়ান্ত কষ্টের।
    সে রাত আমাদের দুজনের জন্য তীব্রতম কষ্টের রাত। প্রিয়জন পাশে থাকার পরও তাকে স্পর্শ করতে না পারার কষ্ট শুধু সেই জন বুঝে যে জন এরকম পরিস্থিতিতে পড়ে। আমি সে রাতে ভাবতে ছিলাম,তোমার পোট্রেট আর আমি দুজন ভিন্ন। পোট্রেট তোমার ভালবাসায় সিক্ত হয় আর আমি ইচ্ছা থাকার পরও সিক্ত হতে পারছিনা। কারন তোমার সাথে আমার সংসার করা সম্ভব নয়। আমার সংসার আছে। আমার সংসার কষ্টের হলেও সে সংসার ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব নয়। কোন পরিবারে বড় বোনের বিয়ে ভেঙ্গে গেলে ছোট বোনের ভাল কোন ঘরে বিয়ে হয়না।
    সকালে উঠে আমরা একসাথে নাস্তা করলাম,চা খেলাম। মনে হল সব স্বাভাবিক আছে। তুমি আমাকে রিকসা করে কাউন্টারে নিয়ে আসলে। খুব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছ। গাড়ীতে উঠার ঠিক আগ মুহুর্তে আমি তোমাকে বললাম ঢাকায় ফিরে গিয়ে তোমার সাথে আমি আর যোগাযোগ করবনা। তুমি শুধু জিজ্ঞেস করলে “কেন,আমার অপরাধ কি?” আমি বললাম সেটা ঢাকায় গিয়ে বলব। আমি গাড়িতে উঠে পড়লাম তুমি দাড়িঁয়ে রইলে।
    ঢাকায় এসে তোমাকে আর কিছুই জানানো হয়নি। আমি আমার সিম বদলে ফেললাম। এটাই ছিল আমার একমাত্র উপায় তোমার সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ করার। এই নাম্বার ছাড়া তুমি আমার আর কিছুই জাননা। কারন আমার আর কিছু বলার বা করার ছিলনা।
তুমি আমাকে ভূলে যাও। আমি জানি সেটা তোমার পে অসম্ভব। তারপরও বলছি ভূলে যাও। ভুলে গেলেই ভাল থাকতে পাববে। অন্যথায় শুুধু কষ্টই পাবে। তার চেয়ে ভুলে যাওয়াই ভাল। আমার পোট্রেটটা পুড়িয়ে ফেল আর আমার সমস্ত ছবি গুলো কম্পিউটার থেকে ডিলেট করে দাও। নুতন কওে কারও সাথে সম্পর্ক তৈরী করার চেষ্টা কর। আর এই মানুষটিকে পারলে মা করে দিও। তোমার জন্য আমার ভালবাসা খুব গোপনে সারা জীবন বেচেঁ থাকবে।

ইতি
পিউনি

প্রাচীন
২৭, কে.বি প্লাজা
চকবাজার, চট্টগ্রাম।

শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৩

অপূর্ণতায় ভালোবাসা.../ জিপসি রুদ্র

মেয়েটি বেশ গোছালো, পরিপাটি সাজগোজ তেমন একটা করেনা তবে মাঝে মাঝে শাড়ি পড়ে চোখের নিচে গাড় করে কাজল দেয় তখন তাকে বেশ লাগে! এটি অবশ্য সে সব সময় করেনা যখন কবিতা আবৃতি করতে যায় তখন করে 
মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বড় হয়ে নিজেকে তৈরি করেছে উচ্চ মানসিক ধারনক্ষমতা সম্পন্ন এক মেয়ে হিসাবে এই মেয়ের মধ্যে অন্য দশটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের মত কোন অন্ধ ধর্মীয় গোঁড়ামি নেই নেই রাষ্ট্রের সংকটাবস্থায় নিশ্চুপ অবস্থানকারণ সে জানে কোন বিষয়ে নিশ্চুপ থাকা অথবা উভয় পক্ষ সমর্থন করা দুই ভণ্ডামি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে তার নিজস্ব মতামত প্রদান, যেটি অন্য দশটি মেয়ে থেকে তাকে আলাদা করেছে অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন এই মেয়েটি শিল্পকলায় তার সমসাময়িক অন্য সবার থেকে অনেক বেশি স্বচ্ছ চিন্তার স্বচ্ছ মানসিকতার   
এই মেয়েটির সাথে আমার সম্পর্ক  বেশ ভালো। তাকে আমি ভালোবাসি নাকি সে আমাকে ভালোবাসে ব্যাপারটা আমার কাছে এখনও পরিস্কার না।তবে আমরা বেশ ভালো ভাবেই দিনাতিপাত করছি।  ছবির মত দেখতে সুন্দর বলে  তার নাম রাখা হয়েছিল ছবি। পড়ছে বাঙলায়। অনার্স ৩য় বর্ষ। ভালো কবিতা লিখতে না পারলেও ভালো কবিতা আবৃতি করে সে।বছর দুয়েক আগে  একটি কবিতা আবৃতি অনুষ্ঠানে তার সাথে আমার পরিচয়  তারপর সখ্যতা। তারপর থেকে একসাথে পার করে দিলাম  অনেকটা সময়।
ছবির মা নেই । যখন সে ক্লাস নাইনে তখন তার মা  আত্মহত্যা করেছিলো। কেন করেছিল সেটি আমি কখনও জানতে চায়নি। অবশ্য সেও আমাকে বলেনি। আর বাবা থাকে দুবাই। প্রায় সাত বছর তার বাবা দেশে আসছে না। ছবি  তার খালার বাসায় থেকে পড়ালেখা করছে। অতি প্রয়োজন না হলে সে বাবার সাথে কথা বলে না। আমার ধারনা সে তার বাবাকে তেমন একটা পছন্দ করে না।
লাভট্যুরে গতবার শীতে গিয়েছিলাম  আমরা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন। আমাদের  এক সাপ্তাহের ট্যুর ছিল। অসাধারণ সময় কাটিয়েছি। সে শুঁটকি পছন্দ করে না শুঁটকির ভোদকা গন্ধে নাকি তার বমি আসে। কিন্তু সেন্টমার্টিন এ সে দিব্যি শুঁটকি ভর্তা খেয়েছে অনেক তৃপ্তি নিয়ে। কক্সবাজারে খোলা আকাশের নিচে তার কোলে মাথা রেখে কবিতা শুনেছি গোটা রাত্রি।সে গুনের “যাত্রা ভঙ্গ” কবিতাটি অসম্ভব ভালো আবৃতি করতে পারে! সমুদ্রর বিশালতাকে সামনে নিয়ে দুজনই অসম্ভব রোমাঞ্চিত হয়েছি।
তার পছন্দের বিষয় হল আমায় নিয়ে ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা। আমি বৃষ্টি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলি  কারণ বৃষ্টিতে ভিজলেই আমার হয় সর্দি না হয় জ্বর । কিন্তু তার কারণে পারিনা।ভেজা শরীরে ধুমায়িত চা তার নাকি অসাধারণ লাগে। বৃষ্টিতে ভেজার পর আমার যদি সর্দি অথবা জ্বর হয় তখন তার  কোলে আমার মাথাটা নিয়ে “পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে” গান শুনায়এই গানটি তার গলায় আমার অসম্ভব প্রিয়।
কয়েক মাস আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম বেশ কয়েকদিন। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হার্টের সমস্যা হয়েছিল। প্রত্যেকটা দিন আমার জন্য খাবার এনেছে হাতে তুলে খাইয়েছে। আমার সেবা করেছে। আমি তাকে জিজ্জাস করেছিলাম এত করছ কেন ? সে উত্তরে শুধু বলেছিল “ভালোবাসি যে” আমি সিক্ত হয়েছিলাম ! চোখের কোনে অজান্তেই পানি এসেছিল!
বেশ কিছুদিন ধরে আমার ছবি হাসপাতালে । তার এইচ আই ভি পজেটিভ। এই ভাইরাস টা সে পেয়েছে তার মা থেকে।আর তার মা পেয়ছে তার স্বামী থেকে। মানে ছবির বাবা থেকে। ছবির বাবার নৈতিক চরিত্র তেমন একটা  ভালো ছিলনা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়ের সাথে অনিয়ন্ত্রিত যৌনতায় মিলতোছবির জন্ম হওয়ার পর ছবির মা বিষয়টি জানতে পারে। ছবি যখন ক্লাস নাইনে তখন তার মা জানতে পারে সে এবং ছবি দুজনেই এইচ আই ভি ভাইরাস বহন করছে। সন্তানের কাছে অপরাধি হয়ে থাকার চাইতে আত্মহননকেই সে উত্তম মনে করে।
ছবির সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে হাসপাতালে।আমি থাকে জিজ্জাস করেছিলাম, ভবিস্যত পরিকল্পনা কি?  সে উত্তরে বলেছে,  এমনিতেই আমরা সবাই মারা যাবো । মানুষের জীবন’তো একটাই  একটু অন্যরকম হলে ক্ষতি কি! তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভবিষ্যতে আমারা দুজন একসাথে থাকবো । যেহেতু আমার সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব নয় তাই আমরা একটা বাবু দত্তক নিবো এবং ওকে আমরা আমাদের সন্তান হিসাবে বড় করবো যাতে প্রজন্ম ঘাটতি না হয়। এখন তুমি বল তুমি রাজি আছো কি না ? আমি বললাম, আমি একটু ভেবে জানাই? সে বলল অবশ্যই!
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে একটা সিগারেট জ্বালিয়েছি। ঘড়ি দেখলাম রাত এক’টার কিছু বেশি। মাথা ভনভন করে ঘুরছে। কি জানাবো থাকে আমি রাজি নাকি রাজি না। যদি রাজি না থাকি তাহলে সে কি করবে? আত্মহত্যা করবে তার মার মত? নাকি আমার উপর ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকবে? আর যদি রাজি হই তাহলে সমাজ কি বলবে?সমাজ কি আমার এমন ভালোবাসা মেনে নিবে? সমাজ কি আসলেই এতটুকু পরিশীলিত হয়েছে?
রাস্তায় সুনশান নিরবতা মাঝে মধ্যে দু’একটা গাড়ি চলাচল করছে। ল্যাম্পপোস্টের সোডিয়াম আলোর নিচে আমি হাঁটছি। মাথার মধ্যে তার সাথে কাটানো অতীত স্মৃতি এলোমেলো ভাবে ঘুরছে। বুঝতে পারছিনা থাকে কি বলবো!

নিসর্গ
২৭ কে.বি প্লাজা
চকবাজার, চট্টগ্রাম
01673011180  


 

শনিবার, ৯ মার্চ, ২০১৩

“একজন মাতাল ক্ষ্যাপাচোদা কবি’র পাগলামি “ট্যাইলা খেলুম , ফাউল নাই...” / জিপসি রুদ্র


ওই খানকির পোলা তোগো মায়েরে আমি চুদি!!!! তোরা কি এই বাঙলায় জন্মাস নাই নাকি তোগো মা তোগোরে পাকিস্তানে জন্ম দিছিল? তোরা এই দেশে থাকবি-খাবি আর গুনকিত্তন গাইবি পাকিস্তানের!!!!  তোগো মায়েরে আমি চুদি খানকির পোলা, তোরা কি এই দেশটারে হোগা মারার দেশ পাইছস?  
ওই খানকির পোলা হেই দিনের কথা আমার মনে হইলে আমার শরীর তরতর কইরা কাইপা উঠে, ট্যাঙের রক্ত মাথায় উইঠা যাই চক্ষের সামনে ভাইস্যা উঠে  খালি লাশ আর লাশ। যুবতীর ভারি শরীরের উলঙ্গ লাশ এইদিক সেইদিক পইরা আছে। তখন ইচ্ছা করে আমার চকির নিচ থেইকা রাম দা টা বাইর কইরা ওই রাজাকারের কল্লাটা ফালাইয়া দি। কিসের এত বিচার? কিসের এত ফাঁসির দাবী? ওই খানকির পোলা আমি কইতাছি তোগোরে “এইবার ট্যাইলা খেলুম, ফাউল নাই রেফারি আমি, বাঁশি বাজামোনা, রাজাকার শেষ কইরা আইতে হইবো” যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করে তাদের জন্য আবার কিসের মানবতা?
ওই খানকির পোলা একটা কুত্তারও দেশপ্রেম আছে । তার এলাকায় অন্য কুত্তা হাদ্দায়লে সে ঘেউ ঘেউ করে তাকে খেদিয়ে দেয়। আর তোরা খানকির পোলা ওই কুত্তার চাইতেও খারাপ। তোগো চক্ষের সামনে রাজাকাররা হাত তালি দিতাছে তোগো শহীদ মিনার ভাংতাছে আর তোগো ভাইয়ের টাটকা গরম রক্তে কেনা লাল সবুজের পতাকা ছিঁড়া টুকরা টুকরা কইরা ফালাইতাছে আর তোরা আমার বালটাও করতে পারলিনা। খানকির পোলা তোগো মায়েরে আমি চুদি!!!
দেশ স্বাধীন হইছে চল্লিশ বছরের বেশি হইল । বহু সরকার আইল গেইল। কামের কাম আমার বালটাও হইল না। এই চল্লিশ বছর কোন সরকার ই দেশের বিরোধিতাকারী ওই রাজাকারের বিচার করতে পারে নাই।  তোগো বাপের দলও পারে নাই তোগো ঘোষকের (?) দলও পারে নাই। দুই দলই আমাগো মাথায় লবন রাইক্ষা বরই খাইছে। আর আমাগো পাছায় তরতাজা বাঁশ হাদ্দায়ছে।
এখন রাজাকারের বিচার  চলতাছে। দেশপ্রেমিক পোলা মাইয়ারা সরকারে গলা চাইপ্পা ধরছে। কোন আঁতাত নয় কোন প্রহসন নয় কোন ভুজং ভাজুং নয় দিতে হইবো ফাঁসি। তারা খাইয়া না খাইয়া এক জায়গায় দাঁড়াইয়া গেছে। বলে দিছে রশিতে না ঝুলাইয়া বাড়ি ফিরবে না। ওই খানকির পোলা তোরা আমারে ক ওদের কি কোন লাভ আছে নাকি কোন ক্ষমতার লোভ আছে? এইখানে তাদের কোন লাভ নাই শুধু তারা চাই রাজাকার মুক্ত বাঙলাদেশ। 
আর তোরা খানকির পোলা কি করতাছস ? “ কইতাছস ফাঁসি দিয়া দিলে কি সব সমস্যা সমাধান হইয়া যাইবো? সরকারি দলেও তো রাজাকার আছে তাদেরও বিচার করতে হইবো। রাজাকার কি খালি বিরোধীদলে?”  তোগো এই সমস্থ কথা শুনলে আমার মাথা আউলাইয়া যাই। ওই খানকির পোলা রাজাকার যেই দলেই থাকুক সে রাজাকার তার শাস্তি একটাই । ফাঁসি। তোরা যে দেশে জন্মাইছস  সেই দেশের বিরোধিতাকারী তোগো চক্ষের সামনে হাত তালি দিব আর তোরা কিছুই করতে পারবি না?ভুইলাযাইস না ত্রিশ লাখ শহীদ বুকের টাটকা রক্ত দিয়া আর দুই লাখ মা বোন ইজ্জত দিয়া তোগো  জন্য এই দেশটা কিনছে।  তোরা ভুইলাযাইস না এই দেশ তোদের। এই দেশের আলো বাতাস তোদের। এই মাটি তোদের। এই মাটির পবিত্রতা  তোগো রক্ষা করতে হইবো। তোগো যত দুঃখ আছে সেগুলোকে ক্ষোভে পরিনত কর । এতদিনের মৌনতাকে রাজাকার নিধনের শপথে আন। তারপর শরীরে সমস্থ শক্তি কণ্ঠে আইনা বল...
“ আমার মাটি আমার মা, রাজাকারকে দিব না
আমার সোনার বাঙলায়, রাজাকারের ঠাই নাই”

ম্যাডাম আপনার আল্লাহর ও হারানো সতিত্বের দোহাই লাগে... / জিপসি রুদ্র


আমার দেশের ঘোষক(?) এর দল  দাবী করে তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের। এটি যে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পায়তারা মাত্র তা আজ আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে চল্লিশ বছেরর বেশি হচ্ছে। কিন্তু দেশ তার বিরোধিতা কারীদের এত দিন কিচ্ছু করতে পারেনি । বাপের দলও পারেনি ঘোষক (?) এর দলও পারেনি। বরং আমরা তাদের লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়ে সম্মান করেছি ।
এখন আমাদের হাঁটুর বয়সী ছেলে মেয়েরা না খেয়ে না ঘুমিয়ে সকল রাজাকারের ফাঁসির দাবী নিয়ে যখন সরকারের উপর চাপ তৈরি করছে আমার বিরোধী দলীয় ম্যাডাম বইলা বসলেন “সাম্প্রদায়িকতা” উস্কে দিচ্ছে। গনহত্যা শুরু করছে। ডাক দিলেন হরতাল।
ম্যাডাম আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধার বউ। আপনার জামাই সরাসরি পাকিস্তান আর আপনি এখন যাদের পক্ষ নিলেন তাদের সাথে যুদ্ধ করে দেশটারে স্বাধীন করছে। আর আপনি সেই সময় কি পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন সেটা নিশ্চয় এখনও ভুলেন নাই?
ম্যাডাম আপনার আল্লাহর ও হারানো সতিত্বের দোহাই লাগে ওই রাজাকার জামাত এর সাথে সমস্থ সম্পর্ক বাদ দেন আর অতীত সম্পর্কের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুণ। আর হাঁটুর বয়সী ছেলে মেয়েরা যে দাবী তুলেছে সেটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করুণ। তাহলে আপনার দলের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরে আসবে। অন্যথায় আপনার দল “নব্য রাজাকার” উপাধি নিয়ে ইতিহাসের অতলে তলিয়ে যাবে।

ম্যাডাম খালেদা’র কাছে খোলা চিঠি... / জিপসি রুদ্র


রাজাকার ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান আমি ভণ্ডামি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছিনা। ভণ্ডামির একটা শেষ থাকে বা কিছু কিছু নৈতিক বিষয় নিয়ে মানুষ ভণ্ডামি করতে পারেনা কারণ বিবেক বাঁধা দেয়। কিন্তু ম্যাডামের ভণ্ডামির  মাত্রা এত বেশি তার কাছে বিবেক নামক জিনিসটি আর আছে কি নাই সেটা নিয়ে আমি যথেষ্ঠ সন্দিহান।
ম্যাডাম আপনার জামাই কাদের বিপক্ষে ৭১ এ যুদ্ধ করেছিল? আর আপনি যুদ্ধের সময় কাদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছিলেন? এইসব বিষয় গুলো কি আপনি বেমালুম ভুলে গেলেন? যদি ভুলে না যান তাহলে কি কারনে কিসের স্বার্থে কার জন্য ওই একাত্তরের বেজন্মা জামাতের পক্ষ নিলেন? ক্ষমতার লোভে ? আপনার কি একবারও মনে হচ্ছে না একাত্তরে বিরোধী শক্তি জামাতের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার দামে আপনি আপনার সতীত্ব বিক্রি করছেন? বিরঙ্গনা হিসাবে আমি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান দিতাম কিন্তু গতকাল আপনি আপানার সংবাদ সম্মেলনের মধ্যমে সেই সম্মানে ছুরি চালিয়েছেন। আমি আগে থেকেই জানতাম আপনার প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান কম কিন্তু গতকাল বুঝতে পারলাম আপনার মাথা পুরাই মাল শূন্য। আপনি একটা টিয়া পাখি। অন্যের শিখানো বুলি আওড়ান মাত্র।
আপনার দলে যারা মুক্তিযোদ্ধা আছে বা যারা রাজাকারের ফাঁসি চাই আপনার এই সংবাদ সম্মেলন কি তাদের মুখ চিরতরে বন্ধ করে দেয় নি? ওরা কি কখনও মন থেকে আপনাকে ক্ষমা করতে পারবে বা আগের মত আপনাকে গ্রহন করতে পারবে? দলের অবস্থানের জন্য হয়ত তারা কিছু বলতে পারছেনা কিন্তু তাদের মনের ভেতর যে দহন সে দহনে আপনি পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন ।
আপনি যে কথা গুলো বলেছেন তার মধ্যে “সাম্প্রদায়িকতা” “গনহত্যা”র মত শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন। আপনি কি এই শব্দগুলো ব্যবহারের আগে একবারও চিন্তা করেছেন। আমি এগুলো কোথায় ব্যবহার করছি? সাম্প্রদায়িকতা সরকার উস্কে দেয়নি দিয়েছে আপনার দলের সহায়তায় একাত্তরের বেজন্মা জামাত। আপনি কি গনহত্যার মানে জানেন? যদি না জানেন তাহলে শব্দটি ব্যাবহারের আগে জেনে নেওয়া উচিত ছিলনা?  সন্ত্রাস দমনের জন্য বা নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য হত্যা কি গণহত্যা?
  এই প্রজন্ম অনেক বেশি শিক্ষিত অনেক বেশি যুক্তিবাদী। আপনার কি মনে হয় এই সমস্থ অতিমাত্রার সস্তা ও হাস্যকর কথা বলে আপনি তাদের আপনার দলে টানতে পারবেন? গতকালের সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে আপনি এই প্রজন্মের মন থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে সরে গেছেন।
 ম্যাডাম সোজা সহজ একটা কথা আপনাকে বলতে ইচ্ছা করছে এই দেশটি যেমন আস্তিকের তেমনি নাস্তিকেরও। তাই আস্তিক নাস্তিক ভাগ না করে আমরা সমবেত হয়ে তরুন প্রজন্মের সাথে একটা দাবীই তুলি “আমার সোনার বাঙলায়, রাজাকারের ঠাই নাই”। “আমার মাটি আমার মা, রাজাকারকে দেব না”। 

শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

Think Global Not Local / জিপসি রুদ্র


জামায়াত শিবির বলছে “ যারা শাহাবাগে যাচ্ছে তারা নেশাখোর আর বেশ্যা” ।
আমার বিশুদ্ধ প্রেমিকা প্রতিদিন অফিস এর কাজ শেষ করে রাতে বাসায় ফেরার আগে একবার শাহাবাগঃ প্রজন্ম চত্বরে যায়। রাজাকারের ফাঁসির দাবি নিয়ে। প্রায় মধ্যরাতে ঘামে ভিজে জুবুথুবু হয়ে বাসায় আসে । তারপর ফ্রিজ থেকে একগ্লাস বয়ফ ঠাণ্ডা পানি খায় । পানি খাওয়া শেষ হলে বলে “ If Possible I Will Fuck Them”.
আমি ধরে নিলাম “জামায়াত-শিবির” এর কথায় আমার বিশুদ্ধ প্রেমিকা একজন বেশ্যা।  এখন কথা হল একজন বেশ্যা যে মাটিতে দাঁড়িয়ে বেশ্যাবৃত্তি করে ওই মাটির পবিত্রতা রক্ষা করা তার নৈতিক দায়িত্ব। মাটির পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য একজন বেশ্যা রাজাকারের ফাঁসি দাবি করতেই পারে। এতে অপরাধ বা দৃষ্টিকটুর কোন ব্যাপার থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না । নাকি একজন বেশ্যা গণহত্যা, ধর্ষণ, খুন,ও অগ্নিসংযোগকারীর ফাঁসির দাবি করতে পারবেনা ?
জামায়াত ও শিবির’কে বলছি, মানুষের চিন্তা বদলেছে, সহনশীলতা ও  মানসিক ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে । এই সমস্থ সস্তা ও স্থুল কথা বলে মানুষের চিন্তায় ফাটল ধরাতে পারবিনা। Thing Global Not Local. তোদের ফাঁসি অনিবার্য। 

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

নয়া চিন্তার বিস্ফোরণ... / জিপসি রুদ্র


আমার মা'র সাথে আমার চিন্তাগত দূরত্ব বেড়েই চলছে। গতকাল রাতে ভাত খেতে খেতে মা আমাকে বলল -
তুই এখন চাকরি-বাকরি করছিস, আল্লাহর রহমতে টাকা-পয়সাও ভাল কামাইতেছিস, বাড়ি-ঘর কিছু করবি বলে ঠিক করেছিস?
আমি বললাম-আমার বাড়ি-ঘর বাঁধার সাথে তোমার সম্পর্ক কি?
আমার বয়স হয়ে গেছে আমি আর কয়দিন। তোর বাপ যে ঘর দিয়ে গেছে এই ঘরে তো বেশিদিন থাকতে পারব না। বর্ষায় ঝুমাইয়া পানি পরে। তুই নতুন ঘর বাধলে ওখানে বাকি জীবনটা আরাম আয়েশে কাঠিয়ে দিতাম।
মা আমার ঘরে তুমি থাকবে কেন? আর আমি ঘর বানালে ওই ঘরে তোমাকে থাকতে দিব এইটা তোমারে কে বলল?
 মুখে ভাতের যে গ্রাসটা নিচ্ছিল সেটি মুখে না দিয়ে  প্লেটে নামিয়ে আনলো এবং হতবাক হয়ে আমাকে বলল-
তোর ঘরে আমাকে রাখবি না?
না।
কেন?
মা, আমি যদি একটা গরু পালন করার সিদ্ধান্ত নিইতাহলে প্রথমে গরু কিনতে হবে নাকি? মা কে প্রশ্ন করলাম
মা উত্তর দিল, গরু’ত তুই জন্ম দিতে পারবিনা কিনতেই তো হবে।
আমি বললাম, তাহলে তুমি এখন আমাকে বলো গরু কিনে গোয়াল বাধবো নাকি গরু কেনার আগে গোয়াল বাধবো?
মা বলল, গরু কেনার আগে গোয়াল না বাধলে তুই গরুটা রাখবি কই?  
আমি বললাম তাহলে তুমি বুঝতে পারছ যে গরু কেনার আগে গোয়াল বাধতে হবে।
মা বলল, অবশ্যই
তাইলে এখন বল আমার গোয়ালটা কই?
তোর গোয়ালটা মানে? আমারা কি তোর কোন দায়িত্ব পালন করিনি?
আমি যে একটা মানুষ আমার থাকার যে একটা ঘর দরকার ওই ঘরটা কই?
আমাকে যে তোমরা দুনিয়াতে আনলা তোমাদেরকে কি কেউ  বলছিল আমাকে  দুনিয়াতে আনতে? সম্পূর্ণ তোমাদের ইচ্ছায় এনেছ। তার মানে তোমরা একটা মানুষ আননি এনেছ অনেকগুলো দায়িত্ব। ভালবাসা এক জিনিস দায়িত্ব সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। ভালবাসলে সওয়াব না বাসলে গুনা নাই। কিন্তু দায়িত্ব পালন না করলে গুনা। তোমারা আমাকে এনেছ বলে তোমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে বা হচ্ছে না আনলে হতনা। এখন কেন এত দায়িত্ব দায়িত্ব করছ। মা তোমারা আমাকে পরিকল্পিত ভাবে আননি আনলে আমার এত অনিশ্চিত ভবিস্যতের মাঝে হাঁটতে হতনা।
মা চুপ করে রইলেন। আমি জানি সে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। এই কষ্ট আমি কোনদিন লাঘব করতে পারবনা। কিন্তু এর জন্য আমার কোন অনুশোচনা নেই। কারন আমি আমার ন্যায্য কথাটুকু বলেছি। এতে কেউ কষ্ট পেলে আমার কিচ্ছু করার নেই।
আমি যদি সন্তান আনার আগে সন্তানের থাকার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে সন্তান আনবো  যদি না পারি তাহলে আনবো না । কারন আমি আমার পূর্ব প্রজন্ম থেকে যে কষ্ট পেয়েছি সে কষ্ট আমি আমার উত্তর প্রজন্মকে দিব না। পূর্ব প্রজন্ম যে ভুল করেছেন সে ভুলকে একটা জায়গায় চিরতরে থামিয়ে দিতে হবে। কারন কোন ভুল চলমান থাকতে পারেনা। আমার উত্তর প্রজন্ম হয়তো নতুন সমস্যা পাবে কিন্তু আমি যে সমস্যা পেয়েছি সে সমস্যা যাতে না পাই সে ব্যবস্থা আমাকেই করে যেতে হবে। এটা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে আমি মনে করি।





নিসর্গ
২৩ কে.বি প্লাজা
চকবাজার, চট্টগ্রাম।